মো. সাদ্দাম হোসেন সোহান:
ফরিদপুরের বাখুন্ডা বাজারে পাঁচজন নৈশপ্রহরীকে হাতমুখ বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরো ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার কদমতলি ও মুন্সিগঞ্জের শ্রীপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতাররা হলেন শরিয়তপুরের পালং থানার চরগাজিপুরের কাজল দেবনাথ (৪৭), ময়মনসিংহের ফুলপুরের আনোয়ার হোসেন বেপারী ওরফে ফজো বেপারী (৭০), মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের এনারাও শেখ (৪০), কুড়িগ্রামের মাউরার পাড়ের সাইদুল সরকার (২৭), শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মো. শাহিদ ওরফে আবুল (৩৮) ও ঢাকার দোহারের উজ্জ্বল দাস (৩৮)। পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, কাজল দেবনাথকে ৯ জুলাই বেনাপোল থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সে এই ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে পরেরদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সেখানে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরো কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার এসআই জব্বার ও কনস্টেবল হিমেল ডাকাত দলের এই সদস্যদের গ্রেফতারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন কর জানান। তিনি জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে এমারত শেখ ও সাইদুলের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও উজ্জ্বল দাসের কাছ খেকে লুণ্ঠিত অলঙ্কারের মধ্যে আট আনা ওজনের গালানো স্বর্ণের বার এবং ২০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার বাখুন্ডা বাজারে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ মে গভীর রাতে বাখুন্ডা বাজারের নৈশ্য প্রহরীদের বেঁধে মারধর করে জুয়েলারিসহ বেশকয়েকটি দোকানের বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে। চারটি ডাকাতদলের ২০ থেকে ২৫ জন এতে অংশ নেয়। ওই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিকরা কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা করেন ২৯ মে ২০২৩- এ। ৩ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ জুলাই ২৩/এসবি