সবুজ সরকার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিজ জন্মভূমিতে জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) স্থানীয় যুবকরা নিশো অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’ ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করে সেখানে প্রদর্শনের আয়োজন করে। সেখানে আফরান নিশো ও তার টিমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুজ্জামান তালুকদার বাবলু প্রমুখ। এর আগে ভূঞাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও সংবর্ধনা ও ‘সুড়ঙ্গ’ ছবি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। নিশোর আগমনের খবরে স্কুলমাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আয়োজকদের আমন্ত্রণে নিশো তার ছবির পুরোটিম নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে ভূঞাপুরে আসেন। এ সময় সুড়ঙ্গ ছবির নায়িকা তমা মির্জা, পরিচালক রায়হান রাফীসহ টিমের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধিত অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, জন্মভূমির শেকড়টা ভুলতে চাই না কখনও। টাঙ্গাইলে আসলেই আমার ভাষা টাঙ্গাইলের মত হয়ে যায়। এছাড়া আমার কাজের মধ্যেও এই ভাষাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সুড়ঙ্গ সিনেমাটিতে মাসুদের যে চরিত্রের গেটআপ সেটা অনেকটা আমার বাবার মত। এটা কাউকে বলা হয়নি।আমার বাবাকে মাথায় রেখে তিনি দেখতেও অনেকটা ওইরকম ছিলেন। আমার মা বলেছেন, ‘তোমাকে দেখতে একদম তোমার বাবার মত লাগতেছে’। ভূঞাপুর আমার জন্মস্থান। সব সময় এখানে আসতাম। তবে মাঝে মাঝে গভীর রাতে বাবার কথা মনে হলেই গাড়ি চালিয়ে গ্রামে গিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে চলে যাই। তবে কাউকে বলি না। নিশো বলেন, ভূঞাপুরে দুইটা সিনেমা ছিল এক সময়। কিন্তু বর্তমানে একটাও নেই। তারপরও আমার জন্মস্থানে আমার ভক্তরা অস্থায়ী সিনেমা হল বানিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে তার জন্য আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কোথাও আগে শুনিনি যে এইভাবে অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করা হয়েছে। আমার এলাকাবাসী আমার জন্য করেছে। আজকে বড় পর্দায় কাজ করছি কিন্তু আজকে আমার বাবা থাকলে অন্যরকম হতো। তিনি যে কত খুশি হতেন- ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সুড়ঙ্গ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, যখন শুনলাম ভূঞাপুরে নিশোর গ্রামের বাড়ি, সেখানে কয়েকজন মিলে হল বানাচ্ছে। এতে আমরা অবাক হয়েছিলাম। সাধারণত এটা হয় না কোথাও। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমি ও ভোলা ভাই যে অভিনেতা আফরান নিশোর বাবা- একসাথে রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজকে ভোলা ভাই থাকলে তার ছেলের সাফল্য দেখে আরও শান্তি পেতেন। নিশো তার কর্ম দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করুক।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ জুলাই ২৩/এসবি