কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার, ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

0
242

আলোকিত ডেস্ক:

বেড়েই চলেছে কুড়িগ্রামের দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি। গত কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুধকুমার নদের পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধরলার পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামীতে এসব নদ নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করা সম্ভবনা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব নদ নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারও বেশি পরিবার। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে কাঁচা পাকা বিভিন্ন সড়ক। অন্য দিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদের বাঁধ উপচে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার আইয়ুব আলী বলেন, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িতে থাকার মত পরিবেশ নাই। উঁচু স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। ভাবতেও পারিনি এক রাতেই এতো পানি হবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তিনি। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, চিলমারী, উলিপুর, সদর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারীসহ বন্যায় যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়ে গেছে। আজ ৬শ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে বলে জানান তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ জুলাই ২৩/এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here