নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জনবল সংকটসহ নানা অনিয়মের কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি বিকল এবং পানি সঙ্কটে আগত চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রায় সময়েই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা- ৩৩ জন ডাক্তারের মধ্যে আছেন ১৪ জন। নার্স ৩০ জনের স্থলে ২৪ জন, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ১৫ জনের স্থলে ৭জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫ জনের মধ্যে ১ জন, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী এবং অফিস সহায়কসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। ফলে হাসপাতালের অফিসিয়াল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেবা নিতে আসা ও ভর্তি হওয়া রোগীরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান- কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীদের যথাযথ সেবা না দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের সাথে বেশি সময় দেন। এছাড়াও বেশি বেশি পরীক্ষা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন বাহির থেকে পরীক্ষা করে আনতে। রোগীর স্বজনদের সাথে নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের অসদাচরণ করাসহ তাদের জিম্মি করে ফেলে। জরুরি বিভাগের অবস্থা আরো খারাপ সময়মতো ডাক্তার থাকেন না, মাঝে মধ্যে ডাক্তারকে বাসা থেকে ডেকে আনতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ওয়ার্ড বয় দিয়ে চলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। অত্র হাসপাতালে যে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব সেই রোগীকে বেশিরভাগই গুরুত্ব না দিয়ে রেফার করে অন্য হাসপাতালে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এক্স-রে-ম্যান না থাকায় এক্স-রে রুম তালাবদ্ধ থাকে, নেই প্যাথলজির মান। তেলসহ বিভিন্ন অজুহাতে দিনের পর দিন বন্ধ রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি প্রয়োজনীয় বেশকিছু ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয় রোগীদের। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এবাদুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান- হাসপাতালে জনবল সঙ্কটের কারণে দাপ্তরিক কাজসহ চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ জুলাই ২৩/এসবি