মৌলভীবাজারে সহস্রাধিক বছরের প্রাচীন বিদ্যাপিঠের সন্ধান

0
1428

এস. এম. জালাল উদদীন:

নালন্দা ও তক্ষশীলার মতো প্রাচীন বিদ্যাপীঠ চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ওঠে এসেছে প্রত্নতাত্তিক গবেষণায়। মৌলভীবাজার জেলায় এর অস্তিত্ব ছিলো বলে মনে করছেন গবেষক ও ইতিহাসবিদরা। ষাটের দশকে উদ্ধার হওয়া কপার প্লেটে বলা আছে এর উত্তরে কুশিয়ারা নদী, দক্ষিণে মনু নদী ও পূর্বে ইন্দেশ্বরের পাহাড়ি অঞ্চল। এই সূত্রে ধরে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনুসন্ধান করছে প্রত্নতত্ত্ববিভাগ। ষাটের দশকে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় উদ্ধার হওয়া কপার প্লেটে উল্লেখ রয়েছে উপমহাদেশের প্রাচীন ও বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ নালন্দা ও তক্ষশীলার মতো চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। এর অবস্থান বলা আছে- উত্তরে কুশিয়ারা নদী, দক্ষিণে মনু নদী ও পূর্বে ইন্দেশ্বরের পাহাড়ি অঞ্চল। সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক দল মৌলভীবাজারের সাগরনাল, ভাটেরা, পাঁচগাও এলাকায় অনুসন্ধান চালান। এতে কিছু ইটপাত্রের টুকরো ও মালার পাথরের কয়েকটি গুটি পান। লেখক ও প্রত্নতাত্বিক গবেষক বিজিত দেব বলেন, বর্ণিত সীমানা বিস্তৃত হওয়ায় এখানে গভীর অনুসন্ধান চালালেই মিলবে হাজার বছরের ইতিহাস। ভাটেরা টিলা ঢিবির তাম্রলিপি ও রাজনগর পাঁচগাও ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ এলাকায় পাওয়া তাম্রলিপির সাথে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র থাকতে পারে। শীত মৌসুমে ভাটেরা টিলা ও রাজনগরের পশ্চিমভাগে খনন ও অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক। ঐতিহাসিকদের মতে, চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্র বংশের রাজা শ্রী চন্দ্র। তিনি ৯৩০ সাল থেকে ৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। বিক্রমপুরে চন্দ্র রাজার প্রশাসনিক রাজধানী হলেও প্রাচীন শ্রীহট্ট ছিলো তাঁর শাসনের আওতাভুক্ত।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ জুলাই ২৩/এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here