প্রতিনিধি, নেত্রকোণা :
নেত্রকোণার পূর্বধলায় রাজিবুলের হাত থেকে কবে মুক্তি পাবে পূর্বধলার সাধারণ মানুষ এমন প্রশ্ন পূর্বধলার জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা, সাধারণ শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের মাঝে। জানা যায়, রাজিবুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্মানী মানুষের সম্মান নিয়ে টানাহেঁচড়া করে ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রক্রিয়া করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজ, সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকে। পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় হতে ১০ জুলাই জামে মসজিদের আইপিএস ব্যাটারি বুঝিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে লিখিত নোটিশ পাঠানো হয় রাজিবুল ইসলাম রাজীবের কাছে। সে সূত্রে জানা যায় , পূর্বধলা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত তহবিল হতে মেঘশিমুল মূলগাও জামে মসজিদের জন্য ফয়সাল মটর এন্ড ইলেকট্রনিক্স থেকে আইপিএস ব্যাটারি ক্রয় করে দেয় কিন্তু সংশ্লিষ্ট মসজিদের কমিটির হাতে বুঝে না দেওয়াই বিগত ১০ মে মেঘশিমুল মূলগাও জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ।অভিযোগের বিষয়ে সহকারী কমিশনার( ভূমি) নাজনীন আক্তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ।যেখানে উল্লেখ যে অভিযোগটি সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই আদেশক্রমে তিন দিনের ভিতরে ঘাগড়া চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে আইপিএস ব্যাটারিটি উক্ত মসজিদে কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য, না হয় অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এদিকে ১০ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও এখনো রাজিবুল ইসলাম রাজীব আইপিএস ব্যাটারি ফেরত দেয়নি। এ ব্যাপারে রাজিবুল ইসলাম রাজীবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে চিঠি যখন আসে তখন আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাত্রাপথে ছিলাম ঠিক তখনই ফোন করে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে না পাড়ার বিষয়টি উনাকে জানিয়েছিলাম এবং তিনি আমাকে বলেছিল এর জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে তখন আমি বলেছিলাম ঢাকা থেকে এসে আমি লিখিত আবেদন করছি কিন্তু এর আগেই তিনি বাদীদের একতরফা বক্তব্য শুনে পূর্বধলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন ,যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সেই বাদীদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে যা সত্য নয়। সেজন্যই আমি ১২ জুলাই পূর্বধলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আপিলের জন্য আবেদন করেছি। পূর্বধলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আক্তার জানান, মসজিদের আই পি এস আত্মসাত অভিযোগের তদন্ত কালে শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য রাজিবুল ইসলাম রাজীবকে চিঠি পাঠানো হয় কিন্তু সে শুনানিতে উপস্থিত হয়নি তাছাড়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে । এর মধ্যে রাজিবুল ইসলাম রাজীব ঢাকায় চিকিৎসা করার জন্য আসতে পারবেনা বলে ফোনে যোগাযোগ করেছিল কিনা সে প্রশ্নের তিনি বলেন শুনানীর আগে আমার ফোন দিয়েছিল কিনা কেউ নেই কিন্তু সে শুনানিতে অনুপস্থিত ছিল এবং প্রতিবেদন দাখিলের দাখিলের আগ পর্যন্ত আমার কাছে কোন লিখিত আবেদন দেয়নি। ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান, রাজিবুল ইসলাম রাজীব একটা সুবিধাবাদী ।যেকোন লোক বিরোধিতা করে সেটা হোক জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা। এখন উপজেলার পরিষদ হতে যে নোটিশ পাঠিয়েছে সেই মোতাবেক এখনো আইপিএস এর ব্যাটারি বুঝিয়ে দেয়নি ১০ দিন হয়ে গেল এখনো সে মেঘশিমুল মূলগাও জামে মসজিদে আইপিএস ব্যাটারি জমা দেয়নি। এখন নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানাবো তখন উনি ব্যবস্থা নিবেন। এদিকে পূর্বধলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, নোটিশের মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে রাজিবুল ইসলাম রাজীবকে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উক্ত মসজিদের আইপিএস এর ব্যাটারি ফিরতের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এখন সে বিষয়ে কোনো লিখিত আকারে জমা দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি পায়নি পেলে এর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ জুলাই ২৩/এসবি