এস. এম. জালাল উদদীন:
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের একটি সুশোভিত, অপরূপ ভূখণ্ডের নাম মৌলভীবাজার। প্রকৃতির নিরাবরণ রূপের মাধুরিতে সৌন্দর্যমণ্ডিত এই অঞ্চলে রয়েছে সহাস্রাব্দের এক সমৃদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সবুজ-শ্যামল মাটির একখণ্ড ভূমি মৌলভীবাজার প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান, যেখানে জন্ম নিয়েছিলেন অগণিত কীর্তিমান ব্যক্তিবর্গ, যাঁদের অবদান বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির কাছে চিরঅম্লান, চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। ৫৬ হাজার বর্গমাইল বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি, ‘দু’টি পাতা একটি কূড়ির দেশ’ এই মৌলভীবাজার জেলা। চা-বাগান, হাওর, বিল, ঝিল, পাহাড়, ঝর্ণা, নদীবিধৌত এই ভূখণ্ডটি ছিল এককালে প্রাচীন কামরূপ ও ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য যে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকে মৌলভীবাজার জেলাকে অনুসন্ধান করতে গেলেই সর্বাগ্রে বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাসে আলোকপাত করতে হবে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, বহুপূর্ব থেকেই মৌলভীবাজার তথা সিলেট অঞ্চল পবিত্র ভূমি হিসাবে পরিচিত ছিল। রামায়ণ ও মহাভারত এর মত উল্লেখযোগ্য মহাকাব্যে এ অঞ্চলের উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র গ্রন্থের বরাতে বলা হয়, সত্যযুগে ‘মণু’ নামের ভগবান বর্তমান মণু নদীর তীরে শিবপূজা করতেন বলে এই নদীর নাম মণুনদী হয়েছে। শাস্ত্রে বিশ্বাসী হিন্দুগণ বরবক্র ও মণু নদীতে তীর্থযাত্রায় আসতো। বরবক্র, মণু ও ক্ষমা (খোয়াই) নদীগুলো এ অঞ্চলের ভূমি বিস্তার এবং উক্ত নদী গুলোকে ঘিরে তীর্থযাত্রীদের আগমন অত্র অঞ্চলের জনবসতি বিস্তারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মৌলভীবাজার অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বাংশের কিছু অংশ ছাড়া বাকি সবটুকুই কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। সুলতানি আমলে তথা বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের (১৩০১-১৬২২) সময় মৌলভীবাজারসহ সমগ্র সিলেট অঞ্চল মুসলমানদের অধিকারে আসে। আরবের ইয়েমেন থেকে আগত জগৎ বিখ্যাত ওলি হযরত শাহজালাল (রঃ) এর সিলেট আগমনের পর তাঁর সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে অন্যতম হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রঃ) ইসলাম প্রচারের জন্য মৌলভীবাজার অঞ্চলে আসেন। তিনি বাগদাদের অধিবাসী ছিলেন। মৌলভীবাজার শহরেই তাঁর মাজার রয়েছে। মোগল আমলে বর্তমান মৌলভীবাজার অঞ্চল মোগল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে যুদ্ধে ইটা রাজ্যের (মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশ ইটা রাজ্যের অধীন ছিল) রাজা সুবিদ নারায়ণের মৃত্যুর পর এই রাজ্য পাঠান বীর খাজা ওসমানের অধিকারে আসে। ১৬১২ সালে সিলেটের অধিকর্তা মোগল সেনাপতি ইসলামখানের আক্রমণের পূর্ব পর্যন্ত ইটা রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন খাজা ওসমান। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা হারানোর পরই এদেশে ইংরেজ শাসন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা চালু করে এবং তালুকভিত্তিক জমিদার ও মিরাসদার শ্রেণী সৃষ্টি করে অবিবেচকের মত সাধারণ প্রজার কাছ থেকে খাজনা আদায় শুরু করে। ইংরেজদের এই শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে স্বাধীনতার প্রথম চেতনা প্রকাশে ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লব সংঘটনে মৌলভীবাজার অঞ্চলের সিপাহীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। ১৮৫৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ‘লাতু’ নামক স্থানের নিকটে একদল বিদ্রোহী সিপাহী (সেনা) ইংরেজদের মুখোমুখি হয়। ১৮৭৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান মৌলভীবাজার জেলাসহ বৃহত্তর সিলেট ঢাকা বিভাগের একটি জেলা হিসেবে বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪ সালে আসামের সাথে একে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়। ১৯০৫ সালে যখন পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়, তখন আজকের সিলেট বিভাগকে রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা হিসেবে। কিন্তু ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের মাধ্যমে আবার সিলেটকে আসামের সাথে চলে আসতে হয়। ১৮৭৭ সালে সিলেট জেলাকে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট সদর ও করিমগঞ্জ নামে ৪টি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়। পবের্তীতে দেখা গেলো সিলেট সদর মহকুমা আয়তনে বড়। তাই প্রশাসনিক সুবিধার্থে ১৮৮২ সালের ১ এপ্রিল উত্তর শ্রীহট্ট ও দক্ষিণ শ্রীহট্ট নামে সিলেট সদর মহকুমাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। ১৯৬০ সালে দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমার নামকরণ করা হয় মৌলভীবাজার মহকুমা। সূচনাতে মৌলভীবাজার মহকুমা গঠন করা হয় ২৬টি পরগনা নিয়ে। এই ২৬টি পরগনা ছাড়াও ১৯৪০ সালের ২৮ মে করিমগঞ্জের জলডুপ থানাকে বিভক্ত করে ছোট বড় ৭টি পরগনা নিয়ে বড়লেখা থানা গঠন করা হয়। এই থানাটিকে ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমা তথা মৌলভীবাজার মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯১২ সালের ১০ জানুয়ারি এক সরকারি আদেশে রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়। মৌলভীবাজারের এই সাফল্যের ধারা হঠাৎ করেই গড়ে ওঠে নি। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মধারার মাধ্যমে এই সাফল্য আমাদের অগ্রজদের পরিশ্রমেরই যে ফসল এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এ পর্যায়ে মৗলভীবাজারের নামকরণের বিষয়টি সংক্ষেপে তুলে ধরতে চাই। সুদূর মোগল আমলের কথা। ১৮১০ সালে হযরত শাহজালাল (রঃ) এর সঙ্গী হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (র:) এর ভাতুষ্পুত্র, হযরত ইয়াছিন (র:) এর উত্তর পুরুষ মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ মনু নদীর পশ্চিম তীরে জনসাধারণের সুবিধার্থে নিজস্ব মিরাসদারীভুক্ত জমির উপর একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাজারটি ক্রমেই মৌলভী সাহেবের বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে। যা পরবর্তীতে এসে মৌলভীবাজার নামে খ্যাতি লাভ করে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত জেলা কালেক্টরগণের অধীনে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেইট দ্বারা মহকুমার শাসন ক্ষমতা পরিচালিত হতো। ১৯১২ সাল থেকে মহকুমার অধিকর্তা হন মহকুমা প্রসাশক বা এসডিও। ১৯১২ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৭০ বছরে মৌলভীবাজার মহকুমার প্রশাসক ছিলেন ৫৫ জন মহকুমা প্রশাসক। মৌলভীবাজার মহকুমার প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন মি.ই.বি শার্গ আই.সি.এস এবং সর্বশেষ মহকুমা প্রশাসক ছিলেন মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন সরকার। ব্যাপক প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় মৌলভীবাজার মহকুমা ১৯৮৪ সালে জেলার মর্যাদা পায়। বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলায় ৭টি উপজেলা, ৬৭টি ইউনিয়ন এবং ২১৩৪টি গ্রাম রয়েছে। উপজেলার মধ্যে রয়েছে, মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও জুড়ী। আয়তনের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার বাংলাদেশের ২০তম বৃহত্তম জেলা। মৌলভীবাজার জেলার মোট আয়তন ২৭৯৯.৩৯ বর্গ কি.মি. যা সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১.৮৮%। ধনধান্য পুষ্পেভরা মৌলভীবাজার অজস্র প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও চায়ের রাজ্য হিসেবে এ জেলা সর্বাধিক পরিচিত। সময় পরিক্রমায় দেশে এখন চা-বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। তন্মধ্যে ৯৩টিই মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। দেশের মোট উৎপাদনের ৬৪% চা মৌলভীবাজারেই উৎপাদিত হয়। তাই এই জেলাকে বলা হয় দু’টি পাতা একটি কূড়ির দেশ। বড়লেখার উৎকৃষ্ট আগরবাতি ও আতর বিদেশে রপ্তানি করার ফলে তা বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে। বিচিত্র ধরনের বনস্পতি কাঠ ছাড়াও রাবার, লেবু, আনারস, গ্যাস সম্পদসহ নানামুখী কৃষিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর মৌলভীবাজার অঞ্চল। সেই সাথে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন জেলা হিসেবে মৌলভীবাজার দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। নয়নাভিরাম চা-বাগান ও ঘনসবুজ বনানীর পাশাপাশি এ জেলায় বসবাসরত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বিচিত্র জীবনাচার ও সংস্কৃতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বারবার। তাই তো এখানে আসা পর্যটকদের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে শোনা যায়, প্রকৃতির সান্নিধ্য-দর্শন পেতে অন্তত বাংলাদেশে মৌলভীবাজারের জুড়ি নেই। বস্তুত, বাংলাদেশের আর দশটা জেলা থেকে একটু ভিন্ন রকম এই জেলা। স্বপ্নময় এক শোভনীয়-লোভনীয় স্বর্গসদৃশ ভূমির নাম মৌলভীবাজার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এটি যেন স্বর্গোদ্যান। স্বতন্ত্র নৈসর্গিক সৌন্দর্য এ জেলার সাত উপজেলাকে করেছে বৈচিত্র্যময়। বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাত মাধবকুন্ডে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। ইতোমধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলার হামহাম জলপ্রপাতও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করছে। এ ছাড়াও জুড়ীর প্রস্তাবিত লাঠিটিলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারীপার্ক এলাকা, কমলগঞ্জে চা-বাগানের ভেতর মাধবপুর লেক, শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়ায় খাসিয়া পান-পুঞ্জিতে পানের বরজ, শ্রীমঙ্গলে লেবু বাগান, সারিবদ্ধ আনারস বাগান, উঁচু-নিচু টিলায় চা-বাগানের সারি, মুরাইছড়া ইকো-পার্ক, কুলাউড়ার হাকালুকি হাওর, মৌলভীবাজার জেলা সদরের অদূরে বর্ষিজোড়া ইকো-পার্ক, শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর, বাইকা বিল, রাজনগরের কমলা রানীর দিঘি, শীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মিশ্র চিরহরিৎ বন লাউয়াছড়া জাতীয় পার্ক প্রভৃতি মৌলভীবাজার জেলাকে প্রকৃতির এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমিতে পরিণত করেছে। এছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, পাঁচগাঁওয়ের দুর্গামন্ডপ, মনু ব্যারেজ, কাউয়াদীঘির হাওর, চা-জাদুঘর, টি-রিসোর্ট, নিমাই শিববাড়ি, চা-গবেষণা ইন্সটিটিউট পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। এবার আসা যাক যুগে যুগে মৌলভীবাজারে জন্ম নেয়া কৃতি সন্তানদের কথায়, যাদের প্রজ্ঞা, সাহস ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের সমূহ উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলন সংগ্রামে মৌলভীবাজারের ক্ষণজন্মা কীর্তিমানরা যে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন তা এখনো ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। সেইসব কর্মবীর মানুষের কথা এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করতে চাই। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে সিলেটব্যাপী ‘আঞ্জুমানে ইসলাম’ নামে যে সংগঠনটি মুসলমান সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সে সংগঠনের প্রধান সংগঠক ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার সৈয়দ আব্দুল মজিদ সিআইই কাপ্তান মিয়া। ১৯২১ সালে তিনি সিলেট থেকে বিনা প্রতিদদ্বিতায় আসাম আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। আসামের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ শাসনামলে মৌলভীবাজারের যে কয়জন কৃতি সন্তান ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তাঁদের মধ্যে মৌলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী ছিলেন অন্যতম। ইংরেজ শাসনামলে কমলগঞ্জ থানার ভানুবিলের প্রজা সাধারণ জমিদারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, যা ভানুবিল কৃষক বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন পঞ্চানন সিংহ, মোহাম্মদ কাসিম, থেম্বা সিংহ প্রমুখ। ইংরেজ শাসনামলে কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, জমিওতে উলামায়ে হিন্দ, জমিওতে ওলামায়ে ইসলাম, ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি, কৃষক প্রজা আন্দোলন, আঞ্জুমানে ইসলাম প্রভৃতি ভারতীয় রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। মৌলভীবাজার মহকুমায়ও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শাখা গঠন করা হয়। মৌলভীবাজার মহকুমা শাখা কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছিলেন, কমলাকান্ত গুপ্ত এমএলএ, দক্ষিণা রঞ্জন গুপ্ত এমএলএ, পূর্নেন্দু কিশোর সেনগুপ্ত এমএলএ, জীবন সাওতাল এমএলএ, সত্যেন্দ্র কুমার সেন, দিজেন্দ্র মোহন দাসগুপ্ত, সূর্য্য মণি দেব, নিকুঞ্জ বিহারী চৌধুরী, নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী, সুহাসিনী দেব প্রমুখ। মৌলভীবাজার মহকুমা মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ছিলেন, নবাব আলী আসগর খান, দেওয়ান আব্দুল বাছিত, মৌলভী সৈয়দ ছৈইদুর রহমান, সৈয়দ সরফরাজ আলী, ইনাম উল্লাহ, মোহাম্মদ মিছির উল্লাহ, আব্দুল মজিদ খান, আব্দুল আজিজ উকিল, আব্দুস সাত্তার, আজিজুর রহমান তরফদার, সৈয়দ বদরুল হোসেন, আলহাজ্জ কেরামত আলী, দেওয়ান মইনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২১ জুলাই ২৩/এসবি