তানজিলা আক্তার রুবি:
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের আশুজিয়া গ্রামের মইন উদ্দিনের বসতবাড়ির বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা,ভাংচুর অতঃপর লুটপাট করেছে বলে জানা গেছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি গত ৫ জুলাই বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে একই গ্রামের মতি মিয়া’র গংরা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আশুজিয়া গ্রামের মুসলিম মিয়া’র স্ত্রী বাদী হয়ে একই গ্রামের মো. মতি মিয়া, শরিফ মিয়া, ওয়াসিম মিয়া, মানিক মিয়া, এরশাদ মিয়াসহ মোট ৮ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেত্রকোণা (৩) এ একটি মোকদ্দমা করেন এবং সকল আসামি হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়-আসামিগণ মইন উদ্দিনের পরিবারের লোকজনদের নামে পূর্বে একটা মিথ্যা মামলা করে,সেই মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত মইন উদ্দিন গংদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মতি মিয়া’র গংরা গত (৫ জুলাই) বুধবার রাতের আঁধারে মইন উদ্দিনের বসতবাড়ির বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর অতঃপর লুটপাট করে বসতঘরে থাকা দুটি গরু বিক্রির নগদ ১ লাখ, ৫০ হাজার, একটি দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন ও দুটি কানের দুল যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫ মণ ধান ও ১০ মণ চাউল মূল্য ৪৫ হাজার, একটি এল ই ডি টিভি মূল্য ২৫ হাজার, একটি জল মোটর মূল্য ১৫ হাজার, একটি স্টিলের আলমারি মূল্য ১৫ হাজার, লেপ-তোষক, কাঁচের জিনিসপত্র এবং আরো অন্যান্য সামগ্রী জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এছাড়াও ঘরের কাঠের দরজা, জানালা, টিন ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। মামলার বাদী আশুজিয়া গ্রামের মুসলিম মিয়া’র স্ত্রী বলেন- মামলার প্রধান আসামী মতি মিয়া’র হুমকে অন্যান্য আসামীগণ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়িতে এখন কোন পুরুষ লোকজন না থাকায় প্রাণের ভয়ে আছি। আসামিরা জামিনে এসে এখন আরো ভয়ানক হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় আমাদের পরিবারের মহিলা ও শিশুদের উপর আক্রমণ করতে পারে। মামলার আসামি মো. এরশাদ মিয়া ও তার স্ত্রী বলেন- মইন উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার ভগ্নিপতিকে হত্যা করে কৌশলে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ ঘটনায় আমরা আদালতে মামলা করি। সেই হত্যা মামলার হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত সকল আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। যখন জানতে পারল যে তাদের জামিন হয়নি রাতের আঁধারে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন মইন উদ্দিনের ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এলোমেলো করে ফেলে রেখে চিৎকার করে আমাদের কথা বলে কিন্তু এই মিথ্যা চিৎকারে স্থানীয় কোন মানুষ সায় দেয়নি। তখন কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা করে। আমরাও আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেই মিথ্যা মামলার হাজিরা দেই এবং বিজ্ঞ আদালত আমাদের সকলের জামিন মঞ্জুর করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ জুলাই ২৩/মওম