শিবালয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি’র অনিয়মের অভিযোগ   

0
331

ইমরান নাজির:

মানুষের দোরগোরায় স্বাস্থ্যসেবা পোঁছে দেয়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার পদ্ধতি চালু করলেও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ১ নং মডেল ইউনিয়নের অন্তরগত অন্বয়পুর কেন্দ্রে কর্মরত ক্লিনিকের কতিপয় সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অসদাচরণের লিখিত অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ জুলাই মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) লাইন ডাইরেক্টর বরাবর শতাধীক ভূক্তভোগীর স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত অভিযোগটি ডাকযোগে প্রেরণ করে। এ কেন্দ্রের সিএইচসিপি আরতী সাহা ও এমএইচভি ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা তদন্ত করা কথায় জনমনে স্বস্থি ফিরছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অন্বয়পুর কেন্দ্রে কর্মরত আরোতি সাহা দীর্ঘদিন ১১ বছর যাবৎ কর্মরত থাকার সুবাদে রোগীদের নিকট থেকে নিয়মিত টাকা নিয়ে থাকেন। টাকা না দিলে ঔষধ বা পরামর্শের পরিবর্তে দূর ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ডায়বেটিস রোগিদের নিকট থেকে অবৈধ ভাবে ৫০ টাকা হারে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে টাকা নেয়া হয়। এভাবে প্রত্যহ তিনি অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। এ কেন্দ্রের এমএইভি ফজলে রাব্বি অফিস না করলেও তার মা রাশেদা আক্তার হাজিরা খাতায় ছেলের নাম স্বাক্ষর করেন। এ অবস্থার চলতে থাকায় গরীব-অসহায় লোকজন স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে। ভূক্তভোগীরা দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএইচসিপি আরতী সাহা জানান, আমি এ ক্লিনিকে ১১ বছর ধরে কর্মরত আছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিপদে ফেলার জন্যই করা হয়েছে। রোগীরা আমাকে ভালো বাসে আর ভালো কাজের বিরুদ্ধে সব সয়ম সরযন্ত্র চলে। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এ ক্লিনিকের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লাভলু, এলাকার অনেকেই আমাকে বলেছে আরতী সাহা টাকা নিয়ে রোগী দেখে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণই সত্য। আরতি সাহার অনিয়ম ও তার বিরুদ্ধ আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, এ বিষয়ে এলাকাবাসী আমাদের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তার একটি অনুলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে যেকোন অনিয়ম সম্পর্কে জানালে আমাদের যে নিয়মিত ব্যবস্থা থাকে তা গ্রহন করা হবে। একজনের ডিউটি আরেকজন করা এবং অতিরিক্ত টাকা গ্রহন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক আসলে পরিচালিত হয় একটি কমিটি দ্বারায়। আমাদের পক্ষথেকে তাদের বেতন আর ওষুধ প্রদান করা হয়ে থাকে মাত্র। এ বিষয়ে তদন্ত করে আমরা উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধ আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ জুলাই ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here