প্রতিনিধি, নেত্রকোনা :
দেশে কিছুসংখ্যক হাতুড়ে পল্লী চিকিৎসক রয়েছে যারা যেকোনো রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকে অথচ বেশিরভাগ পল্লী চিকিৎসকের নেই কোন সার্টিফিকেট, শুধুমাত্র একটা ফার্মেসি দিয়ে তারা ছোট বড় অনেক রোগের চিকিৎসা করেন তাদের এমন অদক্ষতার জন্য রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমনই এক ঘটনা ঘটে নেত্রকোনা পৌর এলাকার রাজুর বাজার নায়েব আলী ফার্মেসি নামক দোকানে নায়েব আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক শাহ জাহান মিয়া। ভুক্তভোগী মদনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা অটোচালক জহিরুল ইসলাম এর স্ত্রী শরীফা আক্তার। সরে জমিনে গিয়ে জানা যায় শাহজাহান ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রাজুর বাজার চিকিৎসা করে আসছিল সে প্যারা মেডিকেল টেকনোলজিতে এক বছর কোর্স করে সে প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারলেও জটিল রোগের চিকিৎসা করার কোন দক্ষতা নেই তবুও তিনি শরিফা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ধরতে না পেরে পেটে চর্বি হয়েছে বলে চিকিৎসা করে এতে করে সাত মাসের গর্ভপাত ঘটায় এবং ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণে ভুক্তভোগী শরীফা একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। এলাকার কয়েকজন সাথে কথা বলে জানা যায় পৌরএলাকার বাহিরচাপড়ার জালাল উদ্দিনের বাড়িতে শরীফা জহিরুল দম্পতি এক দেড়মাস হয় ভাড়া থাকে সে সময় ভুক্তভোগী শরীরে অসুস্থতা বোধ করলে তিনি শাহজাহান এর কাছে যায় এবং ওই চিকিৎসক তার পেটে অতিরিক্ত চর্বি হয়েছে বলে জানায় এবং ইনজেকশন ও ওষুধ দিয়ে বলে এই ওষুধে যদি না কমে তাহলে ময়মনসিংহ গিয়েও কমানো যাবে না এই ভেবে ভুক্তভোগী ওষুধ খেতে থাকে এদিকে তার পেটে বাচ্চা সে বোঝেনি ওই চিকিৎসক ও ধরতে পারেনি ভুল ওষুধ আর বলছি চিকিৎসা কারণে সে ব্যথা অনুভব করে এবং বাথরুমে গেলে বাচ্চার ডেলিভারি হওয়া অবস্থায় ঘরে আনার পর সম্পূর্ণ হয় পরে বাচ্চা মৃত দেখতে পেয়ে সে শাজাহানের কাছে যায় সেই মুহূর্তে তর্ক বিতর্ক হয় পরে ৯৯৯ কল দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে মৃত শিশু ও শাহজাহান কে আটক করে। অপরদিকে জানা যায় এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশু ও পল্লী চিকিৎসক শাজাহান কে আটক করা হয় এবং শিশুটিকে মর্গে পাঠানো হয়েছে । কোন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ,শিশুর মা অসুস্থ তাই চিকিৎসার জন্য হসপিটালে পাঠানো হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, যদি অভিযোগ করে তাহলে মামলা আমলে নেওয়া হবে ।
