একেএম ফারুক হোসেন:
নোয়াখালী সদর উপজেলার আণ্ডারচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আণ্ডারচর গ্রাামের কয়েক হাজার মানুষ একটি ব্রিজের অভাবে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচিত হলে আর কেউ খবর রাখেন না। এ পর্যন্ত ২ জন চেয়ারম্যান কথা দিয়েও কথা রাখেননি বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আণ্ডারচর গ্রামটিতে মোট ১০০০ পরিবার বসবাস করছেন। মাঝখান দিয়ে একটি খাল (চুঙ্গার) বয়ে যাওয়ার কারণে গ্রামটি উত্তর- দক্ষিণ ২ ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণ অংশ থেকে প্রায় (১৬০০) মানুষকে উত্তরাংশ দিয়ে স্কুল, কলেজ, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা শহর মাইজদীতে যেতে হয়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয় শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের। সরেজমিনে গিয়ে মেজারম্যান্ট ট্যাপ দিয়ে দেখা যায় এপাড়- ওপাড় মিলে মোট ৪২ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজের প্রয়োজন গ্রামবাসীর। আনন্দ বাজারের পূর্বে ও আনারগঞ্জ রোডের পশ্চিমে অবস্থিত ওই অংশটিতে এখন পুরানো একটি সিমেন্টের পিলার দিয়ে অর্ধেক বাকি অর্ধেক গাছ দিয়ে কোনো রকমে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এখানকার মানুষ যাতায়াত করছেন। যেকোনো মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা। উপস্থিত স্থানীয় মানুষেরা জানান, এখানে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষই গরিব মৎসজীবী নদী-ভাঙন এলাকার। তাদের পক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ আদৌও সম্ভব নয় বলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসীমউদ্দিন জানান, এ ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। আশাকরি ব্রিজটির বিষয়ে সহসা একটি ব্যবস্থা নেবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯জুলাই ২৩/ এসবি