মো. জিয়াউর রহমান প্রধান:
চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নজুড়ে চলছে নেশার জগতের বাবা হিসাবে পরিচিত ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। মাদকের নাম নিলেই বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা নারায়ণগঞ্জের নাম আসে আগে। এ জেলার অন্তর্গত আড়াইহাজার উপজেলার একটি বদ্বীপ ইউনিয়ন কালাপাহাড়িয়ার মধ্যারচর গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে নবী হোসেন সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ইয়াবা ও গাঁজা সংগ্রহ করে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ১৪ টি গ্রামে ছোট ছোট গ্রুপের মাধ্যমে পুলিশের নাকের ডগায় রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সাপ্লাই করে এই আলোচিত বহু মামলার আসামি নবী হোসেন । এই নবী হোসেনের নেতৃত্বে সন্ধ্যা হলেই মধ্যারচর গ্রামের আশেপাশে বসে গাঁজা ও ইয়াবার আসর। ইয়াবার নেশায় মাতাল করে জুয়ার আসর জমিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত করে। যার ফলে যুব সমাজে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রভাব প্রতিটা পরিবারে এই ইয়াবা খোরদের অত্যাচারের পিতা-মাতা অশান্তিতে আছেন। এলাকার স্কুলগামী এবং উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের নিয়ে পিতা-মাতা খুব চিন্তিত। তাদের একটাই দাবি ইয়াবার ডিলার বহু মামলার আসামি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী নবীর যেন কঠিন বিচার হয় । উল্লেখ্য, যে এই নবী হোসেন পুলিশের এসআই নাসির সিরাজী হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি এবং রোজিনা হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি। ইয়াবাসহ একাধিকবার এই হত্যা মামলার আসামি এবং ইয়াবার ডিলার নবী হোসেন গ্রেফতার হয়েও বারবার জামিন নিয়ে ছুটে এসে আবার মাদকের ব্যবসা শুরু করে। জনশ্রুত আছে তার অবৈধ টাকার কাছে বাংলাদেশের আইন নাকি অসহায়। লোকজন বলাবলি করে নবী হোসেন তার কালো টাকার জোরে পুলিশ আইনকে কিনে ফেলে। সাধারণ মানুষ তার থেকে মুক্তি চায়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২ আগস্ট ২৩/ এসবি