জুড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন

0
887
এস. এম. জালাল উদদীন:
দেশ থেকে অপুষ্টি সরাতে সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের আয়োজন করে। যাতে প্রত্যেক সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পেতে পারে। সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। মিল্ক ফিডিং কর্মসূচিতে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি স্কুলে প্রতিদিন পড়ুয়াদের ২০০ এমএল করে দুধ সঙ্গে দিতে হবে। মৌলভীবাজার জেলার ৪ টি উপজেলার ৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা মূলক ভাবে শুরু করা হয় মিল্ক ফিডিং কর্মসূচির। এ উপলক্ষে জুড়ী উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল যৌথ ভাবে পরীক্ষা মূলক ভাবে জুড়ী উপজেলায় চালু করা হলো মিল্ক ফিডিং কর্মসূচির। বুধবার (২/৮/২৩)  দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের ১৪৮ নং উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল যৌথ ভাবে বাস্তবায়ন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচির।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: রমা পদ দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহি উদ্দিন ভুঁঞা। প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি এস. এম. জালাল উদদীন। একজন অভিবাবক জানান, মিল্ক ফিডিং কর্মসূচির আওতায় দুধকে অবিচ্ছেদ্য উপাদান হিসাবে যোগ করতে হবে। প্রসঙ্গত ২০২০ ও ২০২১ সালে মিড ডে মিল চালু হলেও সেখান থেকে প্রচুর অভাব অভিযোগ আসে। ১৬-১৭ জন উপস্থিত অভিভাবকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণীয় স্কুল ব্যাগ প্রদান করায় তাৎক্ষণিক প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও কষ্ট লক্ষ্য করা যায়। শিশু শিক্ষার্থীরা মলিন চেহারায় আয়োজকদের এ ব্যাগ প্রদান কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপস্থিত এক অভিবাবক জানান, বিদ্যালয়ের কোন ধরনের মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ কোন অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে আমন্ত্রণ করেন নি। আজকের মিটিংয়ে আসলাম এখানে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিত ২০ জনের নাম তালিকাভূক্ত করে তাদের কে স্কুল ব্যাগ প্রদান করেন। তিনি বলেন আমি ও অভিবাবক। কিন্তু আমি আমার সন্তান নিয়ে বিদ্যালয়ে আসলেও আমার বাচ্চাকে দেওয়া হয়নি স্কুল ব্যাগ। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিভাবকের তালিকায় আমার নাম নেই। প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী বেগম জানান, এখানে ২০ জন অভিভাবকের নাম তালিকাভূক্ত করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০২আগস্ট ২৩/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here