আশরাফুজ্জামান:
ঢাকা র্যাব -৩,সিপিসি-১,খিলগাঁও ক্যাম্পের অভিযানে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে চাঞ্চল্যকর কুপিয়ে হত্যা ও অন্তঃসত্ত্বাকে মারাত্মক জখম করার মূলহোতা রিন্টু খন্দকার কে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৩ সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্প। র্যাব এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছে। আসামিদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৬ এপ্রিল আসামি সিরাজ শেখ ও তার ছেলে হাচান শেখ এবং রিন্টু খন্দকার সহ সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিম মোঃ মফিজুর রহমান(৪৫) কে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। তখন ভিকটিমের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। স্থানীয় লোকজন মফিজুর ও তার স্ত্রীকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ভিকটিম মফিজুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ মে মৃত্যুবরণ করেন। এ হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৩ ও সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ (সদর কোম্পানি) ও সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্পের একটি যৌথ চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০২ আগস্ট বুধবার মামলার তৃতীয় পলাতক আসামি রিন্টু খন্দকারকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিন্টু খন্দকার উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৩ আগস্ট ২৩/মওম
