আলমগীর হোসেন:
গতকাল ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নয়াকচুয়া গ্রামে অবস্থিত চাঁদেরহাট নামক এক বিনোদনকেন্দ্রের পাশের শালবনে এ ঘৃণ্য ঘটনাটি ঘটে এ ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে সখীপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এতে সাতজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছেন বুলবুল আহমেদ (২৪), লাবু মিয়া (২৬), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), আসিফ হোসেন (২৩), শফিক আহমেদ (২৫) ও মোজাম্মেল হক (৩০)। তাঁদের সবার বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া ঐ বিনোদন কেন্দ্র চাঁদের হাট এলাকায়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল বিকেলে সখীপুর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই দম্পতি উপজেলার নয়াকচুয়া গ্রামে অবস্থিত চাঁদেরহাট নামের একটি বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে যান। সন্ধ্যার দিকে তাঁরা বিনোদনকেন্দ্র থেকে মূল ফটকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় আসামিরা তাঁদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে সন্দেহ করে পাশের একটি গজারি বনে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা তাঁদের প্রথমে মারধর করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে সাতজনে দলবেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোক্তভোগী নারীর স্বামী ধর্ষণের ঘটনায় সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে রাতেই এসআই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ঐ এলাকায় অভিযান করে তাৎক্ষণিক ছয়জন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই দম্পতি থানায় এসে ধর্ষণের বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গেই ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষণকারী ঘৃণ্য আসামিদের আজ ৪ আগষ্ট শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৪ আগস্ট ২৩/মওম