ব্রিজ নির্মাণের শ্রমিক থাকার ঘর এখন অফিস

0
322

দুলাল,শাজাহানপুর:

বগুড়ার শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর সরকারী ব্রিজ নির্মাণের মালামাল এবং শ্রমিকদের থাকার ঘর হঠাৎ করেই প্রধান মন্ত্রীর ছবি ঝুলিয়ে অফিস বানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেশরাত নাইম। এছাড়াও চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সে ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম কামালের ছেলে। এবিষয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, দুই বছর আগে উপজেলার রাধানগর খুটুমারী এই ব্রিজের কাজ শুরুতেই নজরুল ইসলাম(৫০) পিতা কফুর উদ্দিন এর কাছ থেকে ১২শতক জমি ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করে এবং সেখানে টিন সেড বাথরুমসহ একটি ঘর নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজের কাজে ব্যবহারিত মাল-সামানাসহ কয়েকজন শ্রমিক থাকতেন সেখানে। ৩১জুলাই ব্রিজের কাজ শেষ করা হয়। এছাড়াও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঘর এবং অন্যান্য জিনিস পত্র এ্যগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে দেয়া হবে বলে স্ট্যাম্প কেনায় নজরুলকে দিয়ে।এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিশরাত জানান, আমি এবং আমার লোকজন কেউ সেখানে দখল করতে যায়নি তবে আমি ওই প্রতিষ্ঠানকে অনেক জিনিস দিয়েছি টাকাও বাকি পড়ে আছে। স্থাথীয়দের মাঝে একজন জানান, নদীপাড়ের জায়গা ওই সম্পত্তি সরকারি খাস খতিয়ানের সেখানেই ঠিকাদারের লোকজন থাকতো।মূঠোফোনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রনজু জানান, এঘটনার আড়লে কে বা কাহারা কি করেছে আমার কিছু জানা নেয়। ব্রিজ নির্মাণাধীন তালুকদার এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল আউয়াল জানান, ঘরটি এখন সরকারের। সে দু:খ প্রকাশ করে বলে আজ দুই বছর যাবৎ আমি ওর বাড়িসহ বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। সে আমার রড পর্যন্ত বাড়ির ভিতরে চুরি করে রেখেছিল। আমার এক ম্যানেজার ওর বাড়িতে খাবার খেত কিন্তু আমি বাড়ির লোকজন সহ হাট-বাজার করে দিতাম। এলাকাবাসির কাছে ওর খবর নিয়ে দেখেন তারা কি বলে? এখন এলজিডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছে নিলামের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে। শাজাহানপুর থানা পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/০৪ আগস্ট ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here