জি এম রাশেদুল ইসলাম:
কুড়িগ্রামে রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীক এর খলিলগঞ্জ মুক্তারামস্থ নিজ বাস ভবনে ১২ আগষ্ট শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীক বলেন- শোকাবহ মহররম। শোকের মাস মহররম। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ইসলামের সকল শহীদদের। ইমাম হুসাইন আঃ সহ নৃশংস কারবালার সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শোকাবহ আগষ্ট। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ১৫ই আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা সহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদের ও ২ লক্ষ মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগে পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জেলখানার শহীদ চার জাতীয় নেতা। আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বর্তমান যামানার অভিভাবকত্ব হযরত ঈমাম মেহেদী প্রকাশ মোঃ আব্দুল হাই সরকার, বীর প্রতীক। রাসূল সাঃ এর ওফাতের পর রাসূল সাঃ এর অনুসারিদের নৃশংস নির্মম ভাবে হত্যা করে কায়েম করেন এজিদিয়াত রাজতন্ত্র, পীরতন্ত্র, মোল্লাতন্ত্র। তাদের প্রতি যে আদেশ, নির্দেশ, উপদেশ কুরআনে রয়েছে তার শরীয়তের সীমালঙ্ঘন হয়ে গেছে। তাদের তওবার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তাদের অর্জিত সম্পদ তামাদি হয়ে গেছে। তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের ক্বেয়ামত হয়ে গেছে। তাদের সময়সীমা ছিল ক্বেয়ামত পর্যন্ত। ১৪০০ হিজরী সন পর্যন্ত। তাদের শরীয়তের সীমালঙ্ঘন। বেতন ভুক্ত ইমাম ও মোয়াজ্জিন, ধর্মব্যবসা, পীরব্যবসা, নাজায়েজ, হারাম। তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। তারা মুমিন নয়। মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। ইসলামকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মানব রচিত ইসলামী দলগুলো ইসলাম নয়। তারা ইসলামকে বিভক্ত করেছেন, খন্ড খন্ড করেছেন। অর্থাৎ জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, মোহাম্মদী ইসলাম, মাইজ ভান্ডারী ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, চরমোনাই ইত্যাদি মানব রচিত ইসলাম, যাহা ইসলাম নয় শিরক। শিরকের গোনাহ ক্ষমাহীন। ধর্মব্যবসা, পীরব্যবসা, জাহেলিয়াত, এজিদিয়াত, একচোঁখা, কানা, দাজ্জাল, রাজতন্ত্র, পীরতন্ত্র, মোল্লাতন্ত্রের শরীয়তের সীমা লঙ্ঘন মেয়াদ শেষ। সীমা লঙ্ঘনকারী নাফসী নাফসীর ৭২ কাতার জাহান্নামী। আল্লাহ যাহাকে পথভ্রষ্ট করেন তাহার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নাই। আল্লাহ বিচার করেন সঠিক ভাবে। নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বীর প্রতীক আরো বলেন- রাসূল সাঃ এবং তাহার সাহাবীগণ জানমাল সবকিছুই উৎসর্গ করে সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করেছেন। মুমিনগণ ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। মুসলমান ছাড়া কেহই জান্নাতে যাবে না। মুসলমান অর্থ আত্মসমর্পণকারী। সূতরাং আত্মসমর্পণকারী না হইয়া তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করো না। আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর অভিভাবকত্ব হযরত ঈমাম মেহেদী আঃ যিনি আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রঙে রঙিন তিনি মেহেদী আঃ। হেদায়েত প্রাপ্তদের ঈমাম হযরত ঈমাম মেহেদী আঃ। দোযাহানের ধর্ম ইসলাম। দোযাহানের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ। দোযাহানের নবী ঈসা রুহুলুল্লাহ আঃ। ক্ষণস্থায়ী যাহানে তিনি এসেছিলেন, চলে গেছেন উর্দ্ধ আসমানে। বর্তমান যামানায় তিনি এসে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত হয়েছেন এবং বর্তমান যামানার আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর অভিভাবকত্ব ঈমাম মেহেদী আঃ এর নিকট বায়াত গ্রহণ করে চলে গেছেন চিরস্থায়ী যাহানে। ক্ষণস্থায়ী যাহানে যিনি চিরস্থায়ী যাহানে তিনি আল্লাহ। মক্কা শরীফ, মদিনা শরীফ, বাগদাদ শরীফ, আজমীর শরীফ ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্নিক শক্তি ক্লোজ। সালাত অর্থ সাংসারিকতা। সূরা মাউন। সংসার ধর্ম ইসলাম। সালাত কায়েম কর। সংসার কায়েম কর। বিশ্ব সংসার কায়েম কর। বিশ্ব সংসার কায়েম করার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, অসম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বাস্তবায়ন সালাত কায়েম। সালাতের হিসাব সর্বপ্রথম। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি মানবজাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করিবে, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ আগস্ট ২৩/ আর এম