একেএম ফারুক হোসেন:
স্বাধীনতার মহানায়ক বাঙালি জাতির মুক্তির অগ্রদূত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম ১৫ ই আগস্ট শাহাদাত বার্ষিকীতে নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের আহবায়ক তামান্না মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু নাছের মঞ্জুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জয়বাংলা রিট কারী আইনজীবী ড.বশির আহমেদ,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিদ্বয় বখতিয়ার শিকদারও আলমগীর ইউসুফ, নোয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু মিথুন ভট্ট।এছাড়াও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন একাত্তর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ, ক্লাবের সকল সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জায়গা হতে আগত সম্মানিত অতিথিগণ।আলোচনায় আলোচক বৃন্দ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।তারা সকলেই মনে করেন জাতির পিতাকে হত্যা করে ঘাতকরা আবারও দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিলো। আর এ কাজে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা এদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না বলে জানান। আলোচনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান কারণ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী৷ জেলা প্রেসক্লাবকে সংস্কার করে এক নতুন অবয়ব প্রদান করায়।পরে বঙ্গবন্ধুর মাগফেরাত কামনায় দোয়া পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।এর আগে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শিল্প কলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করেন।উক্ত আলোচনায় জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। স্হানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে তার অনুসারীদের নিয়ে প্রধান সড়কে এক জনসভার আয়োজন করেন। তার আয়োজিত জনসভায় জেলা আঃলীগের কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যায়। বিকাল ৩ টায় জেলা আঃলীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ আগস্ট ২০২৩/ আর এম