তারুণ্যের চোখে ক্রিকেট বিশ্বকাপ

0
512
তারুণ্যের চোখে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

আলোকিত ডেস্ক:
২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ স্বাগতিক ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে ত্রয়োদশ আসররূপে পরিচিত পাবে। এরই মধ্যে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এরই মধ্যে ১৭ সদস্যের দলও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সঙ্গে তিনজনকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। মূলত এই দল নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে টাইগাররা। এমনটাই মিলছে আভাস।
এমন আভাস যখন ক্রিকেট অঙ্গনে তখন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের চোখে ক্রিকেট বিশ্বকাপের অগ্রগতি, উন্নতি ও প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন- দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু

স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় বিশ্বকাপের ভাবনা
সালমান খন্দকার
আইন বিভাগ ,সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

১৯৯৭ সালের আইসিসি আয়োজিত মেগা ইভেন্ট “আইসিসি ট্রফিতে” চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ১৯৯৯ সালের “আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে” প্রথম বারের মত সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালে আয়োজিত বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টমবারের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। অতীত পরিসংখ্যানে সুখস্মৃতি ও বাংলাদেশ দলের বর্তমান উজ্জীবিত পারফরম্যান্স এর আলোকে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আসন্ন বিশ্বকাপে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করবে। তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এর সমন্বয়ে দলীয় সামর্থ প্রদর্শনের দ্বারা প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার ভয়ডরহীন ব্রান্ডিং ক্রিকেট খেলবে বলে বাংলাদেশ দলের প্রতি সকল ক্রিকেট প্রেমী বাঙালির অবিরাম আস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, কোচিং প্যানেলের সদস্য ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির থেকে প্রাপ্ত সকল ধরনের সমর্থন ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সকে শানিত করবে। বিগত বিশ্বকাপ ও আইসিসি আয়োজিতো অন্যান্য সকল আসরের অসাধারণ জয়ের উন্মাদনা বর্তমান আসরকে বাংলাদেশের জন্য আরও স্মরণীয় করে তুলবে বলে সকল ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালির একান্ত বিশ্বাস।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নতুন বাংলাদেশ
মোঃ আবু সালিম তৌহিদ
আইন বিভাগ , সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশে ক্রিকেট আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসার খেলা। পাড়ার ক্রিকেট থেকে শুরু করে জাতীয় আসরের খেলা সকলের মাঝে উন্মাদনার সৃষ্টি করে। ঘরোয়া খেলা হলে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় স্থানীয় মাঠে, আর জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলোতে গ্যালারীতে যেমন থাকে দর্শকের ঢল তেমনি দর্শকের আসর বসে রাস্তার ধারের টং দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে অংশ নেবার পর থেকে এই অবধি যতগুলো আসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে তার একটিতেও জয়ী হতে না পরলেও বেশ কিছু শক্তিশালী দলের প্রতিপক্ষে কিছু জয় ছিনিয়ে এনেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড, কোচ, খেলোয়াড় সর্বোপরি আপামর বাঙালির মনে বিশ্বকাপ জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাড়িত করছে প্রতিনিয়ত। আগামীর বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ যে দলটি গঠন করেছে এই দলটিকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা এবং যোগ্য দল। কেননা এই দলটি অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন । বিশ্বকাপের বড় মঞ্চের জাদুকর মোস্তাফিজুর রহমান। অপর এক বড় মঞ্চের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কঠোর অনুশীলনী সাব্বির, ব্যাটিং এ ঝড় তোলানো, অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান লিটন দাস। আর থাকছেন তাসকিন, শরিফুলের মতো পেসাররা। মেহেদী হাসান মিরাজের মতো টগবগে খেলোয়াড়। যে কিনা মাঠকে উজ্জীবিত রাখেন সবসময়। এদের সাথে নতুন হিসেবে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবেন আফিফ, সোহান, জয়ের মতো খেলোয়াড়েরা। বাংলার টাইগার্স খ্যাত, ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়েরা তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম ও পারদর্শিতার মাধ্যমে যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তা সত্যি অভাবনীয়, অকল্পনীয়। তারা পূর্বের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে। ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে আশার আলোর ঝলক সকলের চোখেই পড়ছে।
“মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়” স্বপ্ন যত বড় হবে প্রাপ্তিও হবে তার কাছাকাছি। স্বপ্নের সাথে কঠোর পরিশ্রমের সংমিশ্রণ থাকলে তা সফলতায় রূপ নেয় খুব শীঘ্রই। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ২০২৩ এর বিশ্বকাপকে নিয়ে যে স্বপ্ন লালন করছে, সেইসাথে তাদের পরিশ্রমকে যেভাবে শাণিত করছে, এর প্রেক্ষিতে বিজয় অর্জনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করাই যায়। দিন শেষে ফলাফল যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ টিমের জন্য বাংলার আঠারো কোটি মানুষের ভালোবাসা থাকবে সবসময়। যারা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে উঁচিয়ে ধরছে বাংলাদেশর পতাকা।

নতুনদের নিয়ে সফলতার সম্ভাবনা
মোঃ মুশাহিদ আলী গালিব
আইন বিভাগ , সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

ক্রিকেটপ্রেমী হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে টিভিতে নিয়মিত খেলা দেখা ও ক্রিকেটের খবর পড়ার জন্য পত্রিকা কেনা শুরু করলাম এবং নিয়মিত পড়তাম । তারপর কলেজ লেভেলে আসলাম তখন আবার খেলাধুলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইউনি ক্রিকেট নামে ইউনিভার্সিটি লেভেলে ক্রিকেট খেলার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আশাটা আবার ঝলক দিয়ে ওঠে । কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত না। কারণ ইনডোরে হচ্ছে সেই গেমটা, যেটা থেকে আমরা ভালো আউটপুট পাচ্ছি না। এবার জাতীয় দলের প্রসঙ্গে যাই। ক্রিকেট বোর্ড যেখানে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটার গড়ার কাজ করছেই না সেখানে আবার জাতীয় দলকে নিয়ে নানান কাটছাট চলছে। সেখানে অভিজ্ঞদেরকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তাদেরকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হচ্ছে । সেটা আসলেই খুব দুঃখজনক বিষয় এবং এটা দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য একটা অশনি সংকেত। এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ আসছে এশিয়া কাপের জন্য জাতীয় দলের টিম ঘোষণা হয়েছে কিন্ত প্রতিবারের মত এবারও টিম নিয়ে বিতর্ক চলছে টিম ম্যানেজমেন্টের স্বজনপ্রীতি এবং বোর্ড কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মনোভাব এবং সমন্বয়হীনতার কারণে। দেশের ক্রিকেট অতীতেও ভুগেছে, এখনো ভুগবে। দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নেওয়া হয়নি। দলের সেরা ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবসর নিতে এক ধরনের বাধ্য করা হয়েছে । নতুন খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে যাদের কোন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই । গত বিশ্বকাপে যারা খেলছিল তাদেরও দলের সুযোগ দেওয়া হয়নি। নতুনদের মধ্য থেকে নেওয়া হয়েছে যাদের নেই কোন অভিজ্ঞতা, এমনকি দুচারটে ছাড়া তেমন ম্যাচও খেলেননি। ৩০ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে। সেখানে বি গ্রুপে বাংলাদেশ আফগানিস্তান এবং শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে। এ দুপক্ষকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ । এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটার ইতিহাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তেমন ভালো কোন রেকর্ড নেই। এবারের এশিয়া কাপ যেহেতু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেহেতু দলের পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ হবে। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার ক্যান্ডিতে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে এবং এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সটুকু ফুটিয়ে তুলবে যে তারা আসলে কতটুকু সক্ষম। তারপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর । ১৭ সেপ্টেম্বর কলম্বোতে ফাইনালের মাধ্যমে এশিয়া কাপের পর্দা উঠবে | ৫ অক্টোবর হতে ভারতের বারোটি শহরের বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ডেথ গ্রুপেই বলা যায়। কারণ সেখানে বিশ্বের সেরা সেরা দল ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় প্রশ্নের বিষয় হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া যেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টার্ক, কামিংস এবং ম্যাক্সওয়েলদের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কে আবারো দলে নিয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া দলকে অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে এবং তার ব্যক্তিগত অনেক রেকর্ডও আছে। তারপরও তাকে অবসর এর সুযোগ না দিয়ে তাকে দলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ঠিক উল্টোটাই করছে আমাদের বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড । অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে জোরপূর্বক ক্যাপ্টেন্সি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তামিম ইকবাল সম্পর্কে কিছুটা না বললেই নয় । তার অভিষেক ম্যাচে পোর্ট অব স্পেনে পাকিস্তানের জহির খানের বলে লং অনে যখন ছক্কা হাঁকান। তখন ম্যাচের ধারাভাষ্যকার কিংবদন্তি ইয়ান বিশপ বলেছিলেন – “It believes a 17 years old who is showing very little respect to the elder statesman. ” এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে তার নামটাও রাখা হলো না। মাহমুদুল্লাহ ২০১৯ বিশ্বকাপের দলের হয়ে টানা দুই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করেন এবং ওই সেঞ্চুরি গুলো বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বপ্রথম সেঞ্চুরি ছিল । ৬ নং পজিশনে ব্যাট করতে নেমে সবাই অলআউট হওয়া পর্যন্ত একাই লড়ে যাওয়া রিয়াদের অনেক ম্যাচের প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজেই । ২০১৪ সাল থেকেই ক্রিকেট খেলা দেখি এবং তৎকালীন সময়ে যে খেলাগুলোতেই বাংলাদেশ জিততো তার সবগুলোতেই তামিম মাহমুদুল্লাহর অবদান আমি নিজ চোখে দেখেছি । তো যাই হোক সে ক্ষেত্রে এবারের বিশ্বকাপে দল কি করতে পারবে সেটাই প্রশ্নের বিষয় আমাদের কাপ্তান মাশরাফি ছিলেন তামিম মাহমুদুল্লাহ ছিলেনই তো
যার কারণে আমরা একটা ভালো আউটপুট পেয়েছিলাম। এবারের বিশ্বকাপে আসলে দলের পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে শুধু দুজন সাকিব এবং মুশফিক রয়েছেন। অভিজ্ঞতাহীন এই নবীণ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে দল কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে সেটা প্রশ্ন থেকেই যায় । যেখানে অভিজ্ঞদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অভিজ্ঞদেরকে জোরপূর্বক হাসি ঠাট্টা করে তাদেরকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । তাদের অভিজ্ঞতাকে খাটো করে দেখছে। এটা আসলেই একটি প্রশ্নবিদ্ধ এবং কষ্টের বিষয় যে, ক্রিকেটের মতো একটি প্রতিনিধিত্বশীল খেলায় যোগ্য ক্রিকেটারদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এরপরও আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলের জন্য শুভকামনা রইলো।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: অগ্রগতি এবং উন্নতি
খাদিজাতুল কোবরা রেশমি
আইন বিভাগ , সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

বিশ্বকাপ ক্রিকেট, একটি মহান ব্যান্ডব্যাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা বিশ্বের সর্বাধিক উল্লাস এবং মাঠের মাঝে তৈরি করে। বাংলাদেশ, একটি সাব-সাহারা দেশ, যেটি প্রায় এক দশকের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঝে স্থায়ী অস্তিত্ব গড়ে তুলেছে, তার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট যাত্রা ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছে, যখন দেশটি প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার গ্রহণ করে। এই প্রারম্ভিক দিনগুলি মোটামুটি ক্ষেত্রে কঠিন ছিল, কারণ দলটি নতুন এবং অপরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা সহ মতভেদ এবং দুর্বলতার সম্মুখীন হতে পারে। এই যাত্রায় দলটি সবার চোখে প্রমিত হয়, কিন্তু এই দুর্বলতা দলটির অগ্রগতির পথে বাধা তৈরি করেনি। এরপরে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রতিদিন উন্নতির পথে অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশের যুব খেলোয়াড়রা নতুন উদ্যম, আগ্রহ এবং দৃঢ় আত্মবিশ্বাস সহ আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা দেখাচ্ছে। তাদের অত্যধিক ক্রিকেট দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছে, যা তাদের খেলা ভালো করার উপায় তৈরি করে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মডেল অব উন্নতি দেখাচ্ছে। দলটি আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিদিন উন্নত হতে যাচ্ছে এবং তাদের সম্মুখীন বিপক্ষ দলগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ প্রদান করতে পারে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের উন্নতি সর্বাধিক মহত্বপূর্ণ দিকে এসেছে এর উপার্জন এবং দলটির স্থায়ী অস্তিত্ব। দলটি সফলভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে তার ক্রিকেট জনপ্রিয়তাও বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা একটি মুকুট অফ আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করে। তাদের অগ্রগতির জন্য একটি উত্তম সাহায্যও তাদের উপলব্ধি করে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এবং এটি আক্ষরিকভাবে উন্নতির পথে অগ্রসর । উন্নতির জন্য যে অগ্রগতি এবং প্রগতি দেখা যাচ্ছে তা দেশের মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি করে এবং এটি দেশের ক্রিকেট প্রেমিকদের চোখে দেশটির যত্ন ও উন্নতির মাধ্যমে দেশের নাম এবং গর্ব বাড়ায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এর উন্নতি এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সম্ভাবনা সর্বাধিক স্বাগতযোগ্য। এই দলের যুব খেলোয়াড়রা অত্যন্ত আগ্রহশীল এবং দৃঢ় আত্মবিশ্বাস সহ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরও উন্নত করতে অগ্রসর হচ্ছে। এই অবস্থান দেশটির গর্বসূর্য্য বাড়ানো এবং এক নতুন ছবি চিত্রিত করার সুযোগ সৃষ্টি করছে, যা পরবর্তী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমরা আশা করতে পারি।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ আগস্ট ২০২৩/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here