আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চাঁদের পথে রয়েছে ভারত এবং রাশিয়ার দুই নভোযান চন্দ্রযান-৩ এবং লুনা-২৫। আগামী ২১ অগাস্ট রাশিয়ার লুনা-২৫ ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। এছাড়া ভারতের ইসরো জানিয়েছে—চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করবে ২৩ অগাস্ট। সেই হিসেবে চন্দ্রযান-৩ এর দুদিন আগে চাঁদে অবতরণ করবে লুনা-২৫। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ভারতের তুলনায় অনেক দেরিতে চাঁদের অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। কিন্তু ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চলেছে রুশ মহাকাশযান লুনা ২৫। প্রশ্ন উঠছে, আগে যাত্রা শুরু করেও কেন রাশিয়ার পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছাবে ভারত? জানা যায়, লুনা ২৫-এর ওজন অনেক কম। যন্ত্রপাতির ওজন এবং ওজন বহনের ক্ষমতা অনেক কম রয়েছে রুশ চন্দ্রযানের। মাত্র ১৭৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারে লুনা ২৫। সেখানে চন্দ্রযান ৩ সবমিলিয়ে ৩৮০০ কেজি ওজন বহন করতে পারে ।ওজনের তারতম্যের কারণেই অপেক্ষাকৃত হালকা লুনা ২৫ অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া ভারতের চন্দ্রযানের তুলনায় লুনা ২৫-এর জ্বালানি মজুত করার ক্ষমতা অনেক কম। সেই জন্যই চাঁদের কক্ষপথে খুব বেশি না ঘুরে সোজাসুজি চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চলেছে রুশ চন্দ্রযান। কিন্তু ভারতের জ্বালানি অনেকটা বেশি পরিমাণে মজুত থাকবে। মূলত চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়েই খানিকটা ঘুরপথে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ভারতের চন্দ্রযান। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খরচ কমানোর কারণেই মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। তার প্রভাবেই খানিকটা ধীর গতিতে চলছে চন্দ্রযান ৩।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ আগস্ট ২৩/ মওম