শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ

0
1138
শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ
চক্রের হোতা তথাকথিত অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ

এম এইচ চৌধুরী:
বেকারত্ব দূরীকরণের প্রত্যাশায় মহান পেশা শিক্ষকতার বুলি জপে শিক্ষক নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের হোতা তথাকথিত অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ ও তার সহযোগীদের হুমকিতে চাকরি প্রার্থীগণ। ভুক্তভোগী সরকারি দপ্তরের কর্মচারী আব্দুর রহমান (সাবেক শিক্ষক) মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জয়পুরহাট। ২০১৮সালে জয়পুরহাট জেলা সদরের ধানমন্ডি (সবুজবাগ) এলাকার ধান ক্ষেতে পরিত্যক্ত মুরগী ফার্ম সেড ভাড়া নিয়ে প্রাইমারি থেকে কলেজ পর্যন্ত নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড দিয়ে কার্যক্রম শুরুর নামে নিয়োগ দেয় বহু শিক্ষিত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের। যা ২০২৩ সালে এসেও শেষ করতে পারেনি ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি। নিজেকে স্বঘোষিত অধ্যক্ষ দাবি করে তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ চাকরি দেওয়ার কথা বলে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শতাদিক লোক থেকে প্রায়ই কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায়ই ৫ বছর যাবৎ। প্রতারণার জালে আটকিয়ে চাকরির শুরুতে শিক্ষকদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা (সরকারি না-হওয়া পর্যন্ত) মৌখিক চুক্তি করে ১২/১৫/১৮ মাস চাকরি করানোর পর বিনা বেতনে অব্যাহতি দেয় ত্রুটি দেখিয়ে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা মাস শেষে বেতনের টাকা চাইলে দিচ্ছি দেবো বলে মাসের পর মাস ঘুরানোর পরেও তাদের প্রাপ্ত বেতনের টাকা পরিশোধ না করে হয়রানি করেন তিনি।
চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী মাদক কার্বারীদের দিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয় প্রতিনিয়ত। প্রশাসনের দূর্নীতিবাজ কিছু ব্যক্তিদের হাতে নিয়ে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায়ই শত কোটি টাকা এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ করার কথা বলে ভুক্তভোগীদের জমি নিজে ও তাহার স্ত্রী ফারজান আক্তার রঞ্জুর নামে বায়না নামা /রেজিস্ট্রিরি করে হাতিয়ে নেন প্রতারক তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ।

মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই করতে গেলে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জয়পুরহাট নামে সরকারি কোন দপ্তরে এর অস্তিত্ব নেই অথচ জয়পুরহাট সদর,পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, কালাইসহ ৫ উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ১০৯ জন করে ৫৪৫ জন লোক’কে চাকরির প্রলোভনে ফেলে শত কোটি টাকা নিজ পকেটে ভরেছেন এই চক্রের বেশ কয়েকজন। দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর চাকরী না-হওয়ায় কয়েকবার পাওনা টাকা ফেরৎ চাইলে একাধিক বার বৈঠক করেও টাকা ফেরৎ দেয়নি তথাকথিত অধ্যক্ষ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা, তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ, তাহার স্ত্রী ফারজানা আক্তার রঞ্জু, প্রাইজ এর বড় ভাই ডাঃ এম এ আর চৌধুরী পারভেজ, কার্ডিওলজি বিভাগ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল নওগাঁ। ছোট ভাই মাসুদুর রহমান চৌধুরী প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, সহ একই পরিবারের ৪জন সদস্য রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির শীর্ষ পদে। সরকারি চাকরির বিধি বিধান তোয়াক্কা না করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান ভুক্তভোগী জনসাধারণ। অতি লোভি চতুর তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিজে থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কিন্ডারগার্টেন/প্রাইমারি শাখার প্রধান শিক্ষক হিসেবে আসীন করেন নন মেট্রিক(পরবর্তী উন্মুক্ত থেকে) এসএসসি পাশ স্ত্রী ফারজানা আক্তার রঞ্জু’কে। সাপোর্টিং ডকুমেন্টস হিসেবে দেখানো হয়েছে স্নাতক ডিগ্রীর ভুয়া সার্টিফিকেট। জয়পুরহাট জেলায় একই পদে একাধিক ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর টক অব দ্য টাউন হলেও অদ্যাবধি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি জেলার কোন প্রশাসন। জনশ্রুতি রয়েছে জেলার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গভীর সখ্যতার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সব মহল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর অধীনস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা জেলার মধ্যে দূর্নীতিগ্রস্থ নওগাঁ জেলার মান্দাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা সদরের নামসর্বস্ব মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বর্তমানে) মুক্তিযোদ্ধা কলেজের ভুয়া নিয়োগে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি বই ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি কালে পুলিশের হাতে জব্দ এবং পোথাট্রি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফ্ফার কর্তৃক স্কুল ফান্ডের ৬৫ লক্ষ্য টাকা আত্মসাৎ সহ একাধিক অনিয়ম নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব ও স্কুল পরিদর্শক বরার লিখিত অভিযোগ (চালান সহ) করার পরও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি বোর্ড কতৃপক্ষ। সচিব হুমায়ন কবির ও স্কুল পরিদর্শক জিয়াউল হক অপরাধীদের সাথে আতাত করে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ভুলভাল বুঝিয়ে গত ০৪/০৭/২০২৩ ইং মহাবিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিটির মিটিংয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানে ৩ বছরের জন্য পাঠদানের অনুমতির ব্যবস্থা করেন যার স্মারক নং ৩/কল/জয়-১৪৬৪/৩৫৭ পরিপত্র প্রেরণের তারিখ ২০/০৭/২৩ইং এতে উল্লেখ করা হয় ০১/০৭/২০২৩ তারিখ থেকে ৩০/০৬/২০২৬ইং তারিখ পর্যন্ত আগামী ৩ বছরের জন্য পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হল। দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তিদের অপরাধ দমন করার পরিবর্তে নতুন করে অপরাধ করার সুযোগ করে দেন শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জয়পুরহাট নামে ৩ বছরের জন্য পাঠাদানের অনুমতি নিয়ে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ নামে ৩ বৎসরের জন্য পাঠদানের অনুমতি দেওয়ায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

নিয়োগ দেওয়ার নামে প্রতারিতদের কয়েকজন হলেন (১) তরিকুল ইসলাম বাঁধন, পিতাঃ তৌহিদুল আলম, সাং হিচমি বাজার জয়পুরহাট সদর (২) তানজিনা বেগম,স্বামীঃ মোস্তাকিম বারী, সাং সবুজনগর জয়পুরহাট সদর (৩) আব্দুর রহমান, পিতাঃ খয়বর আলী, সাং শিশি, উপজেলা ক্ষেতলাল (৪) মনোয়ারা খাতুন, পিতাঃ আব্দুল মান্নান, সাং শিশি, উপজেলা ক্ষেতলাল (৫) কোহিনুর আক্তার, স্বামী মোঃ এমরান আলী, সাং মিনিগাড়ী, উপজেলা ক্ষেতলাল (৬) হাবিবা সুলতানা, স্বামীঃ মোঃ জিয়া, সাং সাগরপাড়া, জয়পুরহাট সদর (৭) মোঃ আব্দুর নূর পিতাঃ মোঃ রইছ উদ্দিন, সাং চৌমুহনী বাজার, জয়পুরহাট সদর (৮) মরিয়ম নেছা মুন্নি, স্বামীঃ মোঃ মুন্না ইসলাম, সাং সাগরপাড়া, জয়পুরহাট সদর (৯) রাফাত হোসেন রুপম, পিতাঃ মৃত দেলোয়ার হোসেন, সাং ফয়রা, বদলগাছি, জেলা নওগাঁ (১০) বৃষ্টি রাণী মন্ডল, পিতাঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্রনাথ মন্ডল, সাং শ্যামপুর, জয়পুরহাট সদর (১১) ফাতেমা আক্তার (১২) আশরাফুন্নেছা (১৩) শারমিন আক্তার (১৪) সোহাগি খাতুন (১৫) তানিয়া আক্তার মিম (১৬) আশীষ চন্দ্র মন্ডল (১৭) আয়েশা আক্তার (১৮) ইহসানুল হাসান (১৯) মোঃ সোহরাব হোসেন (২০) মোঃ মোস্তাকিম বারী (২১) ইতি সাহা (২২) মোঃ মিনহাজ (২৩) শামিমা (২৪) তাসমিম (২৫) মোঃ রেজোয়ান সরকার, রাষ্ট্র বিজ্ঞান শিক্ষক ক্ষেতলাল সরকারি কলেজ নিজ ও তার অধিনে ১৬ জনের টাকা সহ শতাধিক ভুক্তভোগী ব্যাক্তি রয়েছে টাকা দিয়ে ফেরত পাচ্ছে না।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কলেজ
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কলেজ

মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জয়পুরহাট এর ম্যানেজিং কমিটির প্রথম ধাপে ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গঠিত হলেও পরবর্তী নিজের মতো করে ৭ সদস্যের পরিচালনা কমিটি করেন মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্র নাথ মন্ডল’কে সভাপতি ও সোহরাব হোসেন সহ-সভাপতি, মোশাররফ হোসেন’কে সদস্য করে তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ নিজে সদস্য সচিব এবং তার আপন বড় ভাই ডাক্তার এম এ আর চৌধুরী পারভেজ, ছোট ভাই মাসুদুর রহমান চৌধুরী প্রিন্স, স্ত্রী ফারজানা আক্তার রঞ্জুর সহ ৪জন রয়েছেন একক ক্ষমতা বলে নিজেদের সুবিধার্থে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্র নাথ মন্ডলের সাথে সাক্ষাৎ করে একাধিক অনিয়ম, দূর্নীতি, অনৈতিক অর্থ লেনদেন ও শিক্ষক নিয়োগের নামে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠান করার কথা বলে আমার সাথে মৌখিক আলোচনা করে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি কমিটি হয়েছিল পরবর্তী একজন মুক্তিযোদ্ধা(বাদেশ আলী সোনা) মারা গেলে তিনি তার মতো করে কমিটি করেন। কাগজে কলমে কমিটি থাকলেও বাস্তবে কোন মিটিং হয়না। চাকরি দেওয়ার নামে বহু মানুষ প্রতারণার স্কীকার হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন,আমার মেয়ে’কে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ২ লাখ টাকা দ্বিতীয় বারে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে তৌফিকুর রহমান প্রাইজ। নিজের জমি বিক্রি করে মেয়ের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম, অথচ এখনো চাকরি হয়নি।টাকা ফেরত চাইলে দিচ্ছি দেবো বলে বছরের পর বছর ঘুরাচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমার একমাত্র মেয়ে বৃষ্টি রাণী মন্ডল অফিস সহায়ক পদে নিয়মিত চাকরি করে আসলেও চলমান ৫ বছরে এক মাসের বেতন পর্যন্ত দেননি। গত ঈদে ২শত টাকা দিয়ে বলে এটা তোমার বোনাস,আমার মাথায় আসে না এটা কেমন বোনাস? ৫ বছরে কোন শিক্ষক’কে এক মাসের বেতন দিতে পারেনি তৌফিক অথচ হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা এমন মন্তব্য করেন সভাপতি জিতেন্দ্র নাথ মন্ডল। ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বাঁধন বলেন স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার পিতার নামীয় ১২ শতক জমি লিখে নিয়েছে প্রতারক তৌফিকুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা আক্তার রঞ্জুর নামে যা রেজিষ্ট্রি হওয়ার কথা ছিলো স্কুলের নামে। অপর ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বলেন, আমি ও আমার ভাতিজি দুজনেই চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়ে ১৮-২০ মাসের মতো বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেছি পরিত্যক্ত মুরগী ফার্মে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে। স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে থাকলেও বাস্তবে প্রাইমারী লেভেল কিন্ডারগার্টেন ছাড়া কিছু নেই সব মিলে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী মাত্র। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চাকরি না-হওয়ার আমি সরকারি দপ্তর চাকরি নিয়েছি। নামসর্বস্ব প্রিন্সিপাল তৌফিকুর রহমান চৌধুরী চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেওয়া ১০ লাখ টাকা এখনো ফেরত দেয়নি। তবে এই প্রতারক চক্রের ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান তিনি। মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জয়পুরহাট বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কলেজ এর অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান চৌধুরী প্রাইজ এর গ্রামীণ ফোন নাম্ববারে কল দিয়ে ভুক্তভোগীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে কোন বক্তব্য দিবেনা বলে সংযোগ বিছিন্ন করায় পরবর্তী চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ আগস্ট ২০২৩/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here