আলোকিত ডেস্ক:
৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই ভারত থেকে দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকছে পেঁয়াজ। তবে আগের আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বেশি দামে বিক্রি করায় সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ভোক্তারা। এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের ঝাঁঝও। বাজারে পেঁয়াজের অভাব নেই, অথচ দামের ঝাঁঝে নাকাল ক্রেতারা। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে রাজধানী ছাড়াও খুলনা, রংপুরসহ দেশের অন্যান্য বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৬০-৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন শুল্কারোপে ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনায় বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলে যে মোকামে রেট বেশি। আমরা ওদের কাছ থেকে দশ পনেরো বস্তা করে কিনে এনে বিক্রি করি। এখন আমরা কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করবো কিভাবে? আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিলো ৬০ টাকা। সেটা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশের বাজারে আগের আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন তারা। রংপুরে এক ক্রেতা বলেন, সারাদিন কাজ করে যে টাকা আয় করি তা কাঁচাবাজারে এলেই ফুরিয়ে যায়। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এখন কিনতে গেলে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারতের বেঁধে দেয়া ৪০ শতাংশ শুল্ক বেশি দিয়েই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে হিলি, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। এতে প্রতি ট্রাকে দাম বেশি লাগায় অনেকে পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহ হারাচ্ছেন। হিলির কয়েকজন আমদানিকারক জানান, তারা বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে কিছুটা সংশয়ে আছেন। কারণ বেশি দামে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এছাড়া বাজার পরিস্থিতি কি অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাও বোঝার চেষ্টা করছেন তারা। সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫৯ ট্রাকে এক হাজার ৭শ ৯১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ঢুকেছে দেশে। আর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৮৭ ট্রাকে ২ হাজার ৫শ ১০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ আগস্ট ২৩/ এসবি