পেঁয়াজের কেজি ১০০ ছুঁইছুঁই, স্বস্তি নেই সবজিতেও

0
250

আলোকিত ডেস্ক:

 

ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর থেকেই দেশের বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এতে বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকার দরে। কিছুদিন আগেও তিন কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। কিন্তু এখন সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি। তবে, বাড়তি এই দামের জন্য আমদানিকারকদের দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। খিলক্ষেত বাজারে কথা হয় রাসেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি বেড়েছে। আমি কম দামেই বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি। অন্য সব দোকানিরা ১০০ টাকা করে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। পাঁচদিন আগে কেজি ছিল ৮০ টাকা। একসপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা। আরেক মুদি দোকানি করিম মন্ডল জানান, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকা। তিন দিন আগে কেজি ছিল ৫৫ টাকা। দাম কেন বেড়েছে বলতে পারি না, বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদ জানান, বেনাপোলসহ শার্শা, নাভারন, বাগআঁচড়ায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বুধবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই আমদানির বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। এরমধ্যে ভারত থেকে আমদানি হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টন। এদিকে, পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৭০-২০০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলার দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, মুখী কচু ৮০-৯০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের (আকারভেদে) দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়ার দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ আগস্ট ২৩/এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here