বিশেষ প্রতিনিধি:
কারও লেজুড়বৃত্তি করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে না এমন মন্তব্য বারবার করেন দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, আমরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই। আমরা চাই, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীল পরিবেশে রাজনৈতিক চর্চা। এখন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে শত্রু মনে করা হয়, এটি ঠিক নয়। আমরা সবাই যার যার রাজনীতি করবো, কিন্তু সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। আবার দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে আমরা সকল রাজনৈতিক দল যেনো এক হয়ে কাজ করতে পারি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার ক্ষমতায় গিয়ে দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দলীয়করণের অপসংস্কৃতি শুরু করেছে। দেশের মানুষ এখন আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সহিংস রাজনীতি পছন্দ করে না। দেশের মানুষ বিকল্প একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চাচ্ছে।
ঠিক তখনই জি এম কাদের তাঁর পূর্বের দেওয়া সমস্ত বক্তৃতার ইতি ঘটিয়ে হঠাতই ভারতের লেজুরবৃত্তি শুরু করলেন। ভারত সফর শেষে বললেন, ভারতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কার কার সঙ্গে সে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং কী বিষয়ে হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবেন না।
জি এম কাদের বলেন, ‘কেননা, ওই আলাপগুলো ওইভাবেই করা হয়েছে। ওনারা যদি প্রকাশ করতে চান, করবেন। আমার পক্ষ থেকে ওনাদের পারমিশন (অনুমতি) ছাড়া কোনো কথা বলতে পারব না। এছাড়া আমি নিজের নৈতিক অবস্থান থেকেও কোনো বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বাইরে বলি না।’
তবে জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন চায় ভারত; এবং ভারত চায়, নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে যাতে কোনো ক্রমেই সহিংসতা, অরাজকতা না হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে যে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তাদের ধারণা ভালো। জাতীয় পার্টিকে তারা সম্ভাবনাময় দল মনে করে। তারা এটাও প্রত্যাশা করেছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগেও ছিল এবং সামনেও থাকবে।’
জাতীয় পার্টির পদচারণা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেশকরা সন্দিহান। তারা মনে করছেন, ভারতের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের খারাপের পর পরই জাতীয় পার্টির হাত ধরেছেন ভারত।
যদি তাই হয়- জি এম কাদেরকে দিয়ে ভারত কি ধরনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন?
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ আগস্ট ২০২৩/ দ ম দ