নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করেও চাকরি করে যাচ্ছেন ১৫ বছর ধরে

0
472
নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করলেও চাকরি করে যাচ্ছেন ১৫ বছর ধরে
নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করলেও চাকরি করে যাচ্ছেন ১৫ বছর ধরে

রুবেল শেখ:
নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাস করেননি, অথচ গত দেড় দশক ধরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক দপ্তরে চাকরি করে যাচ্ছেন এক প্রকৌশলী। কর্তৃপক্ষের আশীর্বাদে বছর বছর মিলেছে নতুন নতুন দায়িত্ব। আর সেসব দায়িত্ব পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুর নামে বাগিয়ে নিয়েছেন সরকারের একাধিক প্লট।
মেগা সিটি ঢাকা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ যুক্ত হচ্ছে এই শহরে। যাদের জন্য পরিকল্পিত একটি আবাসনের ব্যবস্থা করতে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জেলায় রয়েছে তাদের প্রকল্প।

ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র ১০ দিন আগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে সিভিল কাজের জন্য ৫০ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়ে যায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

তড়িঘড়ি করে দেয়া ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য, আর্থিক লেনদেনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার মাত্র ১২ দিনের মাথায় ১৯ অক্টোবর উত্তীর্ণ ৭৪ জনের রোল নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে সেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত সেই ফলাফলে রোল নম্বর না থাকার পরেও চাকরি পেয়েছেন, দীপক কুমার সরকার। সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি বর্তমানে মিরপুর গৃহসংস্থান বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

লিখিত পরীক্ষায় ওই কর্মকর্তার রোল নম্বর ছিলো ৪৫৮। কিন্তু প্রকাশিত তালিকার কোথাও দেখা মেলেনি সেই নম্বরের। চাকরি পেয়ে রীতিমতো আদাজল খেয়ে নেমে পড়েন দীপক কুমার। অভিযোগ রয়েছে, নিজে চেয়ারে বসার পর ভগ্নিপতির সরকারি স্কুলের শিক্ষক পরিচয় গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় আবাসিক প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করিয়ে দেন। এছাড়া নিজের অফিসের কর্মচারির নামে প্লট বরাদ্দ করিয়ে পরবর্তীতে সেটি নিজের নামে হস্তান্তর করেন এই কর্মকর্তা।

এসব বিষয়ে তার মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করা হলেও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যানও। তবে তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এদিকে, সরকারি এই সংস্থায় চলতি মাসে সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় এক সিবিএ নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নতুন করে দীপক কুমারসহ আরো তিন কর্মকর্তার সার্টিফিকেট ও চাকরি সংক্রান্ত নথি তলব করা হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, তিনি বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে বেড়ান জাগৃক চেয়ারম্যানের বাসায় ঝিনাইদহের গ্রাম থেকে আনা ৪০ টি দেশি মুরগি ও গণপূর্ত সচিব ওয়াসি সাহেবকে ৫ টি ছাগল পাঠিয়েছেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ আগস্ট ২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here