সবুজ সরকার:
টাঙ্গাইল শহরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গৃহ বধূর মরদেহ উদ্ধার। রাইসুল ইসলাম লিটন টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার বটতলা পুরাতন বাজারের পাশে একটি ভবন থেকে ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় খাদিজা বেগম(২৫) নামে এক গৃহ বধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত খাদিজা কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, নিহত খাদিজা বেগম এবং তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম বটতলা পুরাতন বাজারের পাশে হেলাল মিয়ার ছয় তলা ভবনের তিন তলার ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। পরে রাশেদুলের পরিচিত নিপা ওরফে রিনা নামে এক নারীকে সাবলেট হিসেবে ভাড়াটে উঠানো হয়। নিপা ওরফে রিনার সঙ্গে রাশেদুলের পরকীয়ার কারণে কয়েক দিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। রবিবার তাদের ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ দেখে বাসার মালিক এবং পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা তালা ভাঙলে খাদিজার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। একই ভবনের অপর ভাড়াটিয়া নার্গিস বেগম জানান, খাদিজা ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম এখানে ভাড়া থাকতেন। ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার খাদিজার সঙ্গে কথা বলে তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যান। প্রধান ফটক খোলা থাকায় বাসার মালিক তাকে ফোনকরে বিষয়টি জানতে চান। পরে বাসার মালিককে খাদিজা ও তার স্বামী এবং অপর ভাড়াটিয়া নিপার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি প্রতিবেশিদের নিয়ে দরজার তালা ভেঙে খাদিজার কক্ষের সামনে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। গৃহবধূ খাদিজার ভাই ইমাম আলী জানান, তার বোনকে তার আগের স্বামীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে বিচ্ছেদ করানো হয়। তার বোন কিছুদিন যাবত টাঙ্গাইল আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করত। কোনো ছেলের সঙ্গে বিয়ে বা সম্পর্ক হয়েছিল কি না তার জানা নেই। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে খাদিজা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পায়ের দুই রগ কাটা, মুখে কাপড় পেঁচানো ও বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পরকীয়ার জের ধরে গৃহবধূ খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী রাশেদুল এবং অপর ভাড়াটিয়া নিপা ওরফে রিনা আত্মগোপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৪ সেপ্টেম্বর ২৩/মওম