সফি সুমন :
ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় অর্ধশতাধিক দলীয় নেতাকর্মী, শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক সংগঠনের কয়েক শত নেতাকর্মীদের নিয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সংসদীয় আসন ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত আশুলিয়া প্রেসক্লাব’র আঙ্গিনায় বিশাল প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি তার এই প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য, স্থানীয় অপর দুই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য, থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কথাও জানান তিনি। আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন যে কেউ প্রত্যাশা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটন্ত ফুলের বাগান থেকে সবচেয়ে সুন্দর ফুলটিই বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন; আমরা তার হয়েই নৌকার নির্বাচন করবো। মনোনয়ন চাইলেও নৌকার বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৯২ হাজার, আশুলিয়া থানার পাঁচটি ইউনিয়নে ভোটার হচ্ছে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার, তার মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার আছে এক লাখ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিএনপির প্রার্থী যদি আশুলিয়া থানা থেকে হয়। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও যদি একই থানা থেকে হয়, তাহলে সে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। আমাকে যদি এই আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির যেকোনো প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমি নির্বাচনে জয়ী হতে পারবো ইনশাআল্লাহ্। তিনি আরও বলেন, এ জয়ের ব্যাপারে আমিসহ আমাদের সকল নেতৃবৃন্দের দৃঢ় বিশ্বাস এবং আস্থা আছে। আর বিএনপির প্রার্থী যেহেতু আশুলিয়া থেকেই হবে, এই নির্বাচনে আঞ্চলিকতার একটি বিষয়বস্তু থেকেই যায়। যেই এলাকা থেকে যে প্রার্থী হয়, সেই এলাকার সাধারণ মানুষ দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে সে প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যায়। এ বিষয়টি আপনাদেও হয়তো সকলেরই জানা। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমিসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দরা তাকে বিজয়ী করতেই মাঠে থাকবো। এ ব্যাপারে কোনও আপস নেই। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সবাই কাজ করবো, এ বিষয়ে আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে একজন প্রতিমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গণতান্ত্রিক একটি রাজনৈতিক সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগীতা থাকে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিযোগীতা যেনো প্রতিহিংসায় পরিনত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্য বিষয়। উনি প্রতিমন্ত্রী হয়েছে এজন্য উনার বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না বা উনি প্রার্থী হলে তাকে সরিয়ে দিবো এমনটা আমি মনে করি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয় না দেওয়া হয় যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তিনি বলেন, বয়সে নবীন কিংবা প্রবীন এর ওপরে সংসদ সদস্য হওয়া নির্ভর করে না। যার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে দল তাকেই মনোনয়ন দেবেন। বাংলাদেশে একঝাক তরুণ বয়সের নবীন সংসদ সদস্য ইতিমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ্। নবীন এবং প্রবীনের সমন্বয়েই সংসদ পরিচালিত হয়।
১৬-০৯-২০২৩ইং