সাতক্ষীরায় পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ

0
466
সাতক্ষীরায় পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ
সাতক্ষীরায় পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ

মো: ইব্রাহিম খলিল
সাতক্ষীরায় সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়োগ কেন্দ্রিক পাহাড়সম অনিয়ম দূর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের মধ্য দিয়ে মনোনীত ৩ প্রার্থীকে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডিজি প্রতিনিধি কে ম্যানেজ করে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেভাগেই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে অদৃশ্য পাতানো বোর্ডে প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি’র মনোনীত প্রার্থীদের নিয়মবহির্ভূত ভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক ৪০ লক্ষ টাকা উৎকোচ বিনিময়ে ঘুষের মাধ্যমে কালো টাকা দিয়ে অবৈধ পন্থায় মনোনীত ৩ প্রার্থীকে নিয়োগ করায় ক্ষুব্ধ প্রার্থী ও স্থানীয়রা। এদিকে, নিয়োগ কেন্দ্রিক নানা অনিয়ম পাহাড়সম দূর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে আছেন ঘুষ বানিজ্যের মাস্টার মাইন্ড দুই হোতা সৈয়দ দীদার বখত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর আর একজন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ের অভিভাবক। একজন শিক্ষকের সুশিক্ষা গ্রহন করে শিক্ষার্থীরা দেশের কল্যাণে কাজ করবে এটাই চির চারিত প্রথা। কিন্ত একজন শিক্ষক যদি হয় দূর্নীতি গ্রস্থ তা হলে বিদ্যালয়ের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা রসাতলে যাবে না এ কথা অস্বীকার করার নয়। আর এক জন বিদ্যালয়ের অভিভাবক শিক্ষা অঙ্গনে নানামুখী উন্নয়ন মূলক দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভালো মন্দ দেখভাল করা সহ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় যোগ্য প্রার্থীদের যোগ্যতা বলে প্রধান্য দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। কিন্ত সৈয়দ দীদার বখত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি দায়িত্বশীল না হয়ে উৎকোচ বানিজ্যের মাধ্যমে পাতানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে গোটা অভিভাবক সমাজ কে কতটা কলুষিত করেছেন তা বলাই বাহুল্য। সৈয়দ দীদার বখত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেছেন সুশীল সমাজ ও স্থানীয়রা। এর আগে, সাতক্ষীরা তালা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, অফিস সহায়ক পদ শুন্য হওয়ায় গত ২৬-০৪-২৩ ইং তারিখ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে চাকরি প্রত্যাশিরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী উক্ত পদের বিপরীতে আবেদন করেন। আবেদন প্রত্যাশিদের মধ্যে তিন পদের বিপরীতে ৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে মনোনীত করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ি পরস্পর যোগসাজশে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে লোভের আশায় বশিভূত হয়ে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তিন জন প্রার্থীকে মনোনীত করে তাদের নিকট থেকে উল্লেখিত পদের বিপরীতে ৪০ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন। অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে তালা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের নওয়াব আলী এর ছেলে মোঃ নয়ন হোসেন কে মনোনীত করে নিয়োগ বোর্ড বসানোর পূর্বে তার নিকট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা সৈয়দ দিদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি ১৬ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। একই উপজেলার সুভাষিণী গ্রামের রফিক মোড়লের ছেলে মোঃ রায়হান হোসেন কে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে মনোনীত করে তার নিকট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। একই উপজেলার সুভাষিণী গ্রামের রুস্তম সরদার এর ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান কে অফিস সহায়ক পদে মনোনীত করে নিয়োগ বোর্ড বসার পূর্বে তার নিকট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, তালা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ি। উল্লেখিত ৩ জন প্রার্থীর নিকট থেকে ঘুষ বানিজ্যের কালো টাকা সাদা করার জন্য সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তালা সরকারি বিদে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, ডিজি প্রতিনিধি অজয় কুমার হালদার ও তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ কে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে গত ০১-০৯-২৩ ইং তারিখ শুক্রবার রাতের আধাঁরে অদৃশ্য একটি পাতানো নিয়োগ বোর্ডে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কর্তৃক মনোনীত ৩ প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়। নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কর্তৃক ৪০ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করার মাধ্যমে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, তালা সরকারি বিদে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডিজি প্রতিনিধি কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে উল্লেখিত মনোনীত ৩ প্রার্থীকে পাতানো নিয়োগ বোর্ডে উত্তীর্ণ করা হবে এমন তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জন প্রার্থীর নাম উল্লেখ পূর্বক ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকায় ১ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের ঐ দিন অর্থাৎ গত ০১-০৯-২৩ ইং তারিখ নিয়োগ বোর্ড বসার কথা থাকলেও দৃশ্যমান কোন নিয়োগ বোর্ড না বসিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, তালা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ি কর্তৃক আগেভাগেই উৎকোচ বিনিময়ে তাদের মনোনীত করা ৩ প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়। এসব অপকর্মে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ এবং সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসারের মনোনীত ডিজি প্রতিনিধি তালা সরকারি বিদে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার হালদার। এর আগে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদ হুবহু সত্য ঘটনার রুপ নেয়। এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৩ শুন্য পদে নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ০১-০৯-২৩ ইং তারিখ শুক্রবার সকাল ০৮.৩০ মিনিট নির্ধারন করা হয়। যা প্রার্থীদের প্রবেশপত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে। সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কমিটির বেধে দেওয়া স্ব-ঘোষিত সময় সীমার আগেই সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদনকারী চাকরি প্রত্যাশি তালা উপজেলার সুভাষিণী গ্রামের মোঃ আনছার আলী শেখ এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান নিয়োগ কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তিনি উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন নিয়োগ বোর্ড অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, তিনি সকাল ৮.০০ ঘটিকায় অত্র বিদ্যালয়ে যেয়ে কোন দৃশ্যমান নিয়োগ পরীক্ষা কিংবা কোন নিয়োগ বোর্ড বসেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তিনি অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদন করেন এবং সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান এর সাথে চাকরির জন্য আলাপ করলে প্রধান শিক্ষক ২০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবি করেন।ভুক্তভোগী উক্ত টাকার যোগান দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার আবেদন করা পদে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মনোনীত প্রার্থীকে উৎকোচ বিনিময়ে অদৃশ্য নিয়োগ বোর্ডে উত্তীর্ণ করা হয়। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি পরস্পর যোগসাজশে অফিস সহকারী পদে মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে মোঃ রায়হান হোসেন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে মোঃ নয়ন হোসেন কে মনোনীত করে তিন পদে ৩ জন প্রার্থীকে মনোনীত করে তাদের নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক মনোনীত তিন প্রার্থীর মাঝে নিয়োগ বোর্ডের আগেভাগেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি প্রতিনিধির সহযোগিতায় প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান। তিনি আরও বলেন, উৎকোচ বানিজ্যের টাকা নিয়ে বহালতবিয়তে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুরশিদা পারভীন পাপড়ি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছু সংখ্যক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং ডিজি প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে ভাগেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা হয়। এসব প্রশ্ন পত্র ফাঁসের কারণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেদারসে চলছে নিয়োগ বানিজ্য। জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষার সময় শিক্ষা অফিসার এবং ডিজি প্রতিনিধি ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড বসার পূর্বে ফাঁস করা একই টাইপের প্রশ্ন পত্র নিয়োগ পরীক্ষার সময় তৈরি করেন। যাহা পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী সম্পুর্ন ভাবে অবৈধ প্রক্রিয়া এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ। জানা গেছে এসব পাতানো নিয়োগ প্রতি ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিচ্ছেন ডিজি প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। সুশীল সমাজের মতে অচিরেই অবৈধ পন্থায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড কার্যক্রম বন্ধ না হলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এবং কালো টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীরাই চাকরি পাবে। উৎকোচ বানিজ্যের কারনে যোগ্য প্রার্থীরা মনোবল হারাচ্ছে। ঘুষ বানিজ্যের কালো টাকার বিনিময়ে চাকরি দিনকে দিন প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কর্তৃক উৎকোচ বানিজ্যের টাকা থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা এবং নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচি উপেক্ষা করে আগেভাগেই সাজানো পাতানো বোর্ডের মাধ্যমে মনোনীত ৩ প্রার্থীকে অবৈধ পন্থায় উত্তীর্ণ করে নিয়োগ সম্পন্নকরণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে চাকরি যেন প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয় তালা উপজেলার সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম মিজানুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করার একপর্যায়৷ তিনি তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। এ বিষয় তালা উপজেলার সৈয়দ দীদার বখ্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ির সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার আলাপের চেষ্টাকালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসারের মনোনীত ডিজি প্রতিনিধি ও তালা সরকারি বিদে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার হালদার মুঠো ফোনে আলাপকালে বলেন, নিয়োগ বোর্ডের সময় আমি ছিলাম না অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে আমি খোজ খবর নিয়েছি নিয়োগ বোর্ড সঠিক সময় হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করার ব্যাপারে তিনি অস্বীকার করেন। নিয়োগ বোর্ডে তিন পদের বিপরীতে কোন কোন প্রার্থীকে নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি জানি না। তিনি বলেন, কোন তিন জন কে নিয়োগ নেওয়া হয়েছে তা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানে। তবে নিয়োগ প্রতি ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে দুই লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করার ব্যাপারে ডিজি প্রতিনিধি অজয় কুমার হালদার কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয় তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে বলেন, নিয়োগ বোর্ডে কোন তিন জন প্রার্থীকে নেওয়া হয়েছে আমার মনে নেই। নিয়োগ বোর্ডের দিন আমি নিয়োগ পত্রে সাক্ষর করে চলে আসছি। প্রশ্ন পত্র ফাঁস করার ব্যাপারে তিনি অস্বীকার করেন। তবে নিয়োগ প্রতি ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করার ব্যাপারে কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাজাহান কবির মুঠো ফোনে আলাপকালে বলেন, তিন পদের বিপরীতে নিয়োগে যে তিন জন প্রার্থীকে নেওয়া হয়েছে তার কপি এখনো আমি হাতে পায়নি। এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচির আগেভাগেই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে পাতানো অদৃশ্য নিয়োগ বোর্ড, উৎকোচ বানিজ্য, সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি অবৈধ পন্থায় মনোনীত তিন প্রার্থী কে নিয়োগ বোর্ডে উত্তীর্ণ করে নিয়োগ নেওয়া হবে মর্মে পত্রিকায় প্রকাশ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখিত ৩ জন প্রার্থীকে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থী মিজানুর রহমান, সুশীল সমাজ, সচেতন মহল সহ স্থানীয়রা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here