ইমরান নাজির, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ):
শিবালয় উপজেলায় বর্ষা মৌসুমেও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবাধে মাটি উত্তোলনের ফলে ভেঙে পড়ার আশংকায় রয়েছে ফসলি জমি। স্থানীয় যুবলীগের সভাপতির নেতৃতে এ ড্রেজার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে আশেপাশের কৃষি জমি ভেঙ্গে পড়া আশংকা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসির অভিযোগ।
জানা গেছে, অত্র উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দিয়ারচর শাকরাইল মৌজার জাইলাবাড়ি চকে জনৈক মুন্নাফ মাষ্টারের জমিতে দেশীয় খনন যন্ত্র বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাটি কেটে বিক্রি করছেন বুতুনী গ্রামের মোতালেব হোসেন। পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত মাটি উত্তোলন করায় আশপাশের বেশ কিছু কৃষি জমি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোতালেব পুরান শাকরাইল গ্রামের একটি কৃষি জমিতে ড্রেজার লাগিয়ে গভীর খনন করে মাটি বিক্রি করায় তার চারদিকে থাকা বেশ কয়েকটি কৃষি জমি ও পুকুরের পাড় ভেঙে পড়ার আশংকায় রয়েছে। দু:চিন্তায় রয়েছে আশেপাশের ফসলী জমির মালিকেরা।
স্থানীয়রা জানায়, সারা বছরই এ ইউনিয়নের বিভিন্ন চকে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মোতালেব। এতে আমাদের অনেকের কৃষি জমি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় নেতা হওয়ায় তাকে বাধা দেবার সাহস পাচ্ছে না কেহই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ সভাপতি মোতালেব জানান, প্রায় এক বছর ধরেই ড্রেজার চালিয়ে আসছে তিনি । স্থানীয় অনেক সাংবাদিক আছে তারা তো কখনো জানতে চায়নি ড্রেজার চালানোর অনুমোদন আছে কিনা। তবে তিনি এ ব্যপারে সংবাদ না প্রকাশ করার অনুরোধ জানান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন সে যেই হোক তার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৩ সেপ্টেম্বর-২৩/এসএএইচ