আশরাফুজ্জামান :
আবহমান গ্রাম বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে,নানা রং আর বাহারি ডিজাইনের নৌকা আর বৈঠার তালে তালে নৌকা চলে হেলেদুলে, মাঝিদের কন্ঠে সারি গান এবং তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের চকবনদোলা এবং হোগলাকান্দি গ্রামবাসী উদ্যোগে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪ টার সময় কুমার নদিতে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শাজাহান মিয়া সাইজার সভাপতিত্বে উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লুথু,বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজ্জাক,দৈনিক মাতৃভূমি পত্রিকার সম্পাদক মসি শ্রাবণ, কাশিয়ানী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মুরাদ সহ গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নৌকাবাইচ দেখতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর থেকে নদীর তীরে ভিড় জমায় হাজার হাজার শিশু-কিশোর এবং নারী-পুরুষ। উচ্ছ্বাস ও আনন্দ নিয়ে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছে দুর-দূরান্ত থেকে আগতরা। নৌকাবাইচকে ঘিরে হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জমে উঠে গ্রামীণ লোকজ মেলা। মেলায় শতাধিক দোকান পসরা সাজিয়ে খেলনা ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান নিয়ে বসে। এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় ৭ টি বাইচের নৌকা অংশ নেয়। এরমধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে গেড়াখোলা গ্রমের বরকত এবং আড়পাড়া গ্রামের উকিল মিনা। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের সংস্কৃতিকে আবার পুনর্জীবিত করেছে। এখন দেশের প্রতিটি জেলার গ্রামগঞ্জে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নৌকা বাইচের আয়োজক গালি বলেন আপনারা পাশে থাকলে এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরই চকবনদোলা ও হোগলাকান্দি গ্রাম বাসীর উদ্যোগ এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৪ সেপ্টেম্বর ২৩/মওম