রানা ইস্কান্দার রহমান:
উজান থেকে নেমে আসার পানির স্রোতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের করতোয়া নদীর বামতীরে নদীর বাকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ধসে গেছে। এ কারনে বাঁধের ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় হতে দুই শত মিটার বাঁধ ধসে নদী গর্বে চলে গেছে। উক্ত বাঁধের ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পর হতে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রক্ষা করছেন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের থেকে নেমে আসায় আশপাশের জমিতে এবং নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া মাটি এবং বালুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমানে জিও ব্যাগ গুলোতে মাটি বালু ভরাট করা সম্ভব হচ্ছে না। বাঁধে পর্যাপ্ত পরিমান জিও ব্যাগ দিতে না পারলে যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে আসপাশের বিশটির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে হুমকি মুখে পড়বে বসতবাড়ী,রাস্তা ঘাট এবং অত্র এলাকার আবাদী জমির ফসল। বাঁধ ধসের পর হতে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ,উপজেলা নিবাহী অফিসার কামরুল হাসান, থানা অফিসার ইনর্চাজ আরজু মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। স্থানীয়রা জানান,গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল হতে বাধের মাটি বালু ব্লক ধসে যায় এতে ব্যাপক ভাবে বাঁধ ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনকৃত বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তারা আরো জানান, প্রতিবছর এই বাঁধে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে তাই ভাঙ্গনের হাত হতে রক্ষায় উক্ত স্থানে স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াদুদ জানান,গতকাল রাত হতে বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ব্যাপক পরিমাণ জিও ব্যাগ থাকলেও সংকট দেখা দিয়েছে মাটি ও বালুর। আমরা মাটি ও বালুর ব্যবস্থা করে জিও ব্যাগ ভরাট করার জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য,পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন এবং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের করতোয়া নদীর বাঁধটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বাঁধটি দ্রুত পুর্নাঙ্গ ভাবে সংস্কার করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এখনো নেওয়া হয়নি প্রয়োজনী ব্যবস্থা।
আলোকিত প্রতিদিন /৩০ সেপ্টেম্বর ২৩/মওম