চীনা পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫নাবিকের মৃত্যুর শঙ্কা

0
345
সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫নাবিকের মৃত্যুর শঙ্কা
সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫নাবিকের মৃত্যুর শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫ জন চীনা নাবিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাগরতলে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করা এই নাবিকদের মধ্যে ২১ জন কর্মকর্তা। সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্বে থাকা কর্নেল পদমর্যাদারও এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের মূল ভূখণ্ড এবং কোরীয় উপদ্বীপের মাঝখানে অবস্থিত ইয়েলো সি বা পীত সাগরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।ব্রিটিশ সরকারের গোপন রিপোর্টের বরাত দিয়ে  ৪ অক্টোবর বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পীত সাগরে মর্মান্তিক এক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় অন্তত ৫৫ জন চীনা নাবিক মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের গোপনীয় প্রতিবেদন অনুসারে, সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেমে বিপর্যয়কর ব্যর্থতার কারণে সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত নাবিকদের মধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবাহিনীর ‘০৯৩-৪১৭’ সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন কর্নেল জুই ইয়ং-পেং এবং ২১ জন অফিসারও রয়েছেন বলে ব্রিটেনের গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। ডেইলি মেইল ​​অনুসারে, যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনে ঘটনাটির বর্ণনায় বলা হয়েছে: ‘চলতি বছরের ২১ আগস্ট চীনা ওই সাবমেরিনটি পীত সাগরে একটি মিশনে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন স্থানীয় সময় সকাল সোয়া আটটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফলে ৫৫ জন ক্রু সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়: দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২২ জন অফিসার, ৭ অফিসার ক্যাডেট, ৯ জন পেটি অফিসার এবং ১৭ জন নাবিক। ’ বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে, ‘নৌযানটি মার্কিন এবং সহযোগী সাবমেরিনকে ফাঁদে ফেলার জন্য চীনা নৌবাহিনীর ব্যবহৃত একটি চেইন এবং নোঙ্গর বাধাকে আঘাত করে। এই সংঘর্ষের ফলে সাবমেরিনের সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। নৌযানটি মেরামত করতে এবং সেটিকে পানির ওপরে তুলতে ছয় ঘণ্টার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিপর্যয়কর ওই ব্যর্থতার পরে সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেম নষ্ট হয়ে সেখানকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে পড়ে এবং এর জেরে ক্রুদের মৃত্যু হয়।’ অবশ্য যুক্তরাজ্যের এই প্রতিবেদন ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ডেইলি মেইল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করতে অস্বীকার করেছে। ডেইলি মেইলে মতে, চীনের টাইপ ০৯৩ সাবমেরিনগুলো গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩৫১ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সাবমেরিনগুলো টর্পেডো দিয়ে সজ্জিত।এছাড়া গত আগস্টের ওই দুর্ঘটনা চীনের শানডং প্রদেশের কাছে জলসীমায় ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

আলোকিত প্রতিদিন /০৪ অক্টোবর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here