উত্তপ্ত পার্বত্য অঞ্চল: তিন জেলায় বাঙ্গালীরা পরবাসী

0
569
তিন জেলায় বাঙ্গালীরা পরবাসী
তিন জেলায় বাঙ্গালীরা পরবাসী

মুহিবুল্লাহ চৌধুরী:

পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলায় বাঙ্গালীরা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত। এখানে বাঙ্গালীরা পদে পদেই বঞ্চিত৷ বাঙ্গালীদের সঙ্গে সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। একতরফাভাবেই উপজাতি জনগোষ্ঠীকে অতিরঞ্জিত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের অনেকটা পাশ কাটিয়ে ১৯৯৭ সনে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস)। কথিত আছে তৎকালীন চুক্তির সংবিধান বিরোধী ধারা-উপধারাগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করানো হয়নি। যার কারণে বাংলাদেশের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনেক ধারা চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে। এই চুক্তিতে বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বিতর্কিত অনেকগুলো ধারা-উপধারা রয়েছে৷ সংবিধান বিরোধী ধারা-উপধারা গুলো পার্বত্য বাঙ্গালীকে নিজদেশে পরবাসী করেছে। পরিতাপের বিষয় যে, দেশের বাঙ্গালীদের তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি ক্রয় ও স্থায়ীভাবে  বসবাস করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকারকে মূল্যায়ন না করে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত করে একচেটিয়া উপজাতিদের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে এখানকার বাঙ্গালীরা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা-চাকরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। মূলত এই কারণে সবকিছুতে উপজাতীয়দের জয়জয়কার। শুধু তাই নয় আত্মঘাতী মূলক পার্বত্য চুক্তির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এ কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বারংবার চুক্তির সবগুলো ধারা বাস্তবায়ন করার অন্য বার বার তাগিদ দিচ্ছে। অন্যদিকে চুক্তির করার পেছনে দেয়া দুটি শর্ত -(১.সন্ত্রাসী ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ২. সকল অস্ত্র জমা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ইস্তফা দিয়ে শান্তি আনয়ন করা) কোনোটিই তারা বাস্তবায়ন করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যেসকল সংবিধান বিরোধী ও বৈষম্যগুলো ধারা-উপধারা রাষ্ট্রের পার্বত্য নিয়ন্ত্রণ খর্ব করেছে এবং বাঙ্গালীদের অধিকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে- তার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো- ১. তিন পার্বত্য জেলায় বাঙালীরা তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারবে না। ২. আঞ্চলিক পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হইতে পারবে না। ৩. তিন জেলায় সরকার ভূমি গ্রহন করতে হলে জেলা পরিষদের অনুমতি লাগবে। ৪.পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডে বাঙালীরা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেও এক্ষেত্রে উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ৫. পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, উপজাতি বিষয়ক শরণার্থী ট্রান্সপোর্ট চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পাহাড়ি হিসেবে অগ্রাধিকার পাবে। ৬. বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোন লোক পাহাড়ে ভূমি খরিদ করিতে পারিবে না। ৭. জেলা প্রশাসকের নাগরিকত্ব সনদপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক সহ নানা অসংগতি রয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন /০৫ অক্টোবর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here