আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার বা মারাত্মক জটিলরোগে আক্রান্ত হতে পারে এমন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি দই, কাস্টার্ড, পুডিং ও ফিন্নি। আর বগুড়া থেকে দই এনে তা অবৈধভাবে বিএসটিআই’র লগো লাগিয়ে বসানো হয় নিজেদের মতো করে মেয়াদ। আর এসব পণ্য সরবরাহ করা হতো কক্সবাজারের নামিদামি প্রায় ৩০টির মতো রেস্তোরাঁয়। রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার হোটেল মোটেল-জোনের শৈবাল ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে বেরিয়ে আসে এ মারাত্মক চিত্র। জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযানে শৈবাল ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় নোংরা পরিবেশে মিষ্টি দই, কাস্টার্ড, ফিন্নি বা পুডিং তৈরি করা হয়। আর এসব তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে মারাত্মক কেমিক্যাল। একই সঙ্গে বগুড়া থেকে আনা দইে অবৈধভাবে লাগানো হচ্ছে বিএসটিআইর লোগো। নিজেদের মতো করে লাগানো হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আসিফ বিন ইকরাম বলেন, শৈবাল ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত মিষ্টি দই, কাস্টার্ড, ফিন্নি, পুডিং এবং বগুড়া থেকে আনা দই সরবরাহ হয়ে থাকে কক্সবাজারের নামি-দামী প্রায় ৩০টির মতো রেস্তোরাঁয়। অভিযানে বেরিয়ে আসে কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার বা মারাত্মক জটিলরোগে আক্রান্ত হতে পারে এমন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি দই, কাস্টার্ড, পুডিং ও ফিন্নি। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের দায়ও স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির হোসেন। তাই প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি নগদ ৪ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সবকিছু সংশোধন করে প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিয়ে পণ্য তৈরি করার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং অফিসার মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও এসব ভেজাল খাদ্য কেনার দায় এড়াতে পারেনা। এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে। যারা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রির করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার পৌরসভা ও ৩৯ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
