আবারও রাতের অন্ধকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জায়গা দখলের অভিযোগ

0
272
রাতের অন্ধকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জায়গা দখলের অভিযোগ
রাতের অন্ধকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জায়গা দখলের অভিযোগ
আবু সায়েম:
আবারও রাতের অন্ধকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, গতো ৩০ সেপ্টেম্বর ছৈয়দুল হক নামে এক ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের নিয়ে রাতের  আঁধারে সরকারি কলেজের জমিতে নতুনভাবে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকালে কলেজের দায়িত্বরত নৈশ প্রহরীরা বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এমনকি বহিরাগত মহিলাদের দিয়ে দখলবাজ চক্ররা দখল করে রাখে কলেজের সীমানাকৃত জায়গা। তড়িৎ পদক্ষেপ হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দখলদারদের অবিলম্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দেন। সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী  অধ্যাপক মফিদুল আলম বলেন, ছৈয়দুল হক ইতিপূর্বে সন্ত্রাসীদের নিয়ে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলো। এ ব্যাপারে আইনগত ভাবে প্রতিকার পেতে কলেজের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও লিপিবদ্ধ করা হয়েছিলো। তৎকালীন সদর মডেল থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্বয়ং উপস্থিত হয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেলেন। তিনি আরো বলেন, আবারো রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে অবৈধ  স্থাপনা নির্মাণ করে ফেলেছে দখলবাজরা। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে কলেজের পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে। সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এদিকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে মৌখিক নির্দেশ প্রদানকালে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড:সুজিত কুমার দে,সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মফিদুল আলম, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ,কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক সহ,ছাত্রনেত্রিবৃন্দ ও সাধারণ  শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কলেজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ,পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর  লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছেন সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী  অধ্যাপক মফিদুল আলম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান,রাতের অন্ধকারে বারংবার  কলেজের জায়গা দখল করায় সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তড়িৎ পদক্ষেপ না নিলে কলেজের শিক্ষার্থীদের সামলানো কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতের বিষয়। এ বিষয়টি যদি দেওয়ানি মামলা হয় সেটা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য। যদি সেখানে ফৌজদারী  কোন অপরাধ সংগঠিত হয় তাহলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কক্সবাজার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সোলাইমান বলেন, জনৈক ছৈয়দুল হকের নেতৃত্বে  বিগত ৩০ সেপ্টেম্বর  রাতে যখন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছিলো তখন  নৈশ প্রহরী জানানোর পর আমরা কলেজের পক্ষ থেকে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের ডিসি, পুলিশ সুপার,এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর চিঠি ইস্যু করেছি, এবং থানায় সাধারণ ডায়েরিও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক যদি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেন তাহলে পুলিশী সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আইনগতভাবে সবকিছুর সমাধান করা হবে এব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/৯ অক্টোবর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here