নরসিংদী মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পৈতৃক জমির সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাংবাদিককে প্রাণনাশের হমকি দিয়েছেন স্থানীয় তার চাচা আওলাদ হোসেন(৫৫) ও জমি বন্ধক নেওয়া সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে ১০ দিনে ও নেওয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে এ কে এম তৌহিদুজ্জামান রানার সাথে একই এলাকার তার মৃত দাদা সুরুজ মাষ্টারের ছেলে আওলাদ হোসেন সম্পর্কে ভুক্তভোগীর চাচা, তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করতে বাধা দেয়। আর যে বাড়িতে ৪ টা ভবন নির্মান করা আছে একটার সম্পত্তি হিস্যা অনুযায়ী তৌহিদুজ্জামান রানা মালিক। এ ঘরের প্রত্যেকটা দরজায় তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখে যেনো বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে। একারণে ভুক্তভোগীকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ সনদসহ সকল কাগজ থাকা সত্বেও দখল ও বিক্রি করতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া রানার বাবার অনেক সম্পত্তি তার চাচা অনুমতি ছাড়াই মানুষের কাছে বন্ধক দিয়ে রাখে। জমি বন্ধক গ্রহণকারী প্রতারকেরা ভুক্তভোগীর জমিতে জোরপূর্বক গাছ লাগিয়ে দখল করে রেখেছে। জমিতে রানা খুটি লাগিয়ে দখল নিতে গেলে বন্ধককৃত মালিকরা রানাকে বাধা দেয় ও তাদের সাথে পৈত্রিক ভিটায় কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওখানকার একজন ইউপি সদস্য তাজুল উদ্দিন আহমেদকে দিয়ে সমস্যা নিরসন করতে গেলে,ইউপি সদস্য আগে রানার চাচাকে মুঠোফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে বললে রানাকে কেটে মেরে ফেলার হুমকি দেন। মুঠোফোন লাউড স্পিকার দেওয়ায় তা ভুক্তভোগী নিজেই শুনতে পান। এ বিষয়ে রানা এলাকাবাসীকে জানিয়ে তার বড় চাচা আওলাদ হোসেনের নামে মনোহরদী থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন এবং এরকম কথায় ভুক্তভোগীর পরিবার ও আমি ভয়ে দিনাতিপাত করছেন। সাথে প্রশাসনের কাছে রানার প্রাপ্ত সম্পত্তি ফিরে পাবার জন্য অনুরোধ জানায়। জিডি সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদীর মনোহরদী থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত শামসুজ্জামান এর ছেলে এ কে এম তৌহিদুজ্জামানের রানার সাথে একই এলাকার তার চাচা আওলাদ হোসেনের সাথে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ কে এম তৌহিদুজ্জামান রানার সম্পত্তি আরএস ২১৫,২১৪,২১২,২১১,২০৮,১৮৩,১৩৮,১৭৭,২০৫ দাগে মোট জায়গার জমির মালিক দখলদার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ তার চাচা ভোগদখল করিয়া আসছিল। বর্তমানে সেই দাগের এ কে এম তৌহিজ্জামান রানাকে এলাকার বাসিন্দা উপরোল্লিখিত বন্ধক নেওয়া আসামী ও স্থানীয় সন্ত্রাসী খোরশেদ মিয়ার ছেলে কিরন মিয়া, মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন, হেলাল উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন এবং মৃত ছমির উদ্দিনের কামাল হোসেন। জমিটি দীর্ঘদিন বন্ধক নিয়ে তাদের দখলে। এবং কাগজ কলমে রানার দখলে আনতে গেলে চারজন বন্ধক নেওয়া মালিক আসামি রানাকে জমির দিকে তাকালে ও দখল করতে গেলে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাই এঘটনায় এ কে এম তৌহিজ্জুমান রানা বাদী হয়ে গত ৬ অক্টোবর মনোহরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যাহার জিডি নং- ৩৬৫ ভুক্তভোগী এ কে এম তোৌহিদুজ্জামান রানা বলেন, মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাড়িতে আমার পৈতৃক সম্পত্তি যা আমার চাচারা দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসিতেছে। তাতে আমার প্রাপ্য অংশ বুঝে নেওয়ার জন্য বাড়িতে গেলে চাচারা তাদের লোক শহিদুল্লাহ ও বন্ধকের নামে দখল করে যারা আছে তারা বাধা দেয় এবং স্থানীয় মেম্বার তাজুল ও চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খান বহলুলের মদদে আমাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়, পরে আমি বিগত তিন তারিখে থানায় অভিযোগ ও ছয় তারিখে জিডি করার পরও থানা হতে আট দিনেও চাচাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। এবং থানার তদন্তকারী অফিসার এর কাছে হত্যা চেষ্টায় জড়িত মেম্বার চেয়ারম্যান এর রেকর্ডিং জমা দেওয়ার পরও পাওয়া যায়নি সঠিক বিচার। আওলাদ হোসেনকে থানায় উপস্থিত করতে না পারলেও আমাকে বারবার থানায় যাওয়ার জন্য ডাকা হয়।
পারভেজ মোশারফ :
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ অক্টোবর ২৩/মওম