হাসান ফখরুল:
টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সোনার ফসল আমন ধানসহ অনেক মাছের ফিসারি। ময়মনসিংহ জেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি ও মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান চাষ ও মাছের ফিসারিতে ভরপুর। ধান চাষ ও মাছ চাষে জীবিকা নির্বাহে চলে বহু মানুষ। এই উপজেলা কৃষি প্রধান হওয়ায় ধান, মাছ, আর নানান জাতের সবজি জেলার চাষাবাদ করা ফসলের অন্যতম। ধান চাষে খরচ কম হওয়ায় আমন ধান এই উপজেলার কৃষকের স্বপ্নের ফসলে পরিণত হয়েছে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে আমন ধান, ও মাছ চাষের ফিসারি। গ্রামের কৃষকের সোনার ফসল আমন ধান ও মাছের ফিসারি টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি মুখে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক। এই উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা কমলদারি নদীও বৃষ্টির পানিতে ভরপুর। কলমদারি নদী ভরে যাওয়ায় ধান-ক্ষেত ও ফিসারির পানি নামতে পারছে না নদীতে। ফলে উঁচু স্থানের পানি কিছুটা কমলেও কমেনি ফসলের পানি। এর ফলে টানা ৩/৪ দিন ধরে পানিতে ডুবে আছে কৃষকের সোনার ফসল। দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকায় পঁচে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের সোনার ফসল। উপজেলার অধিকাংশ আমন ক্ষেত এখন পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। যদিও বৃষ্টি কমে গেছে গত দুইদিন যাবত। বড়খিলা গ্রামের মোঃ রাসেলের পিতা কৃষক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, কি বলবো কষ্টের কথা শুধু আমার ক্ষেত নয়, পুরো এলাকার সবার ক্ষেত আজ ৬ দিন যাবত ডুবে আছে। ক্ষেতে মাছ ছড়িয়ে পড়ায় দলে দলে মানুষ জাল দিয়ে মাছ ধরে ক্ষেত নষ্ট করছে। বেড়িবাড়ি-গৌরীপুর গ্রামের কৃষক জানান, বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমাদের এলাকার অনেক লোকের আমন ধান ক্ষেত। আমাদের গ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই কম। তাই গাঙ্গের পানি না কমার কারণে ক্ষেতের পানি কমছে না। ফলে ধান এবং মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। চার দিনের টানা বৃষ্টিতে গৌরীপুর গ্রামের রড মিস্ত্রি মিনহাজ এর পিতা কৃষক মোঃ বিল্লাল হোসেনের ৫ কাঠা, রাকিবুল ইসলামের পিতা আব্দুস সালাম মিয়ার ১০ কাঠা, কৃষক আব্দুল জলিল মিয়ার ১২ কাঠা সহ কয়েক’শ মাছ ভর্তি ফিসারি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ অক্টোবর ২৩/মওম