কয়েক ঘণ্টায় বন্ধ হতে পারে জাতিসংঘের সহায়তা কার্যক্রম

0
284

আলোকিত ডেস্ক:

তীব্র জ্বালানিসংকটের মধ্যে রয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সেখানকার মানবিক সহায়তা কার্যক্রম। জাতিসংঘ বলছে, দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুধবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমন কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বসংস্থাটি আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ১৮ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে পুরোপুরি অবরোধ করে রাখা হয়েছে ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ড। এ পরিস্থিতির মধ্যে গাজার লাখো মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কিন্তু জ্বালানিসংকট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, ‘যদি জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি সরবরাহ করা না হয়, তাহলে আমরা গাজায় আমাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হব।’ সংস্থাটি গাজায় প্রায় ছয় লাখ বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল সরকারের তথ্য, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আটক করা হয়েছে ২২২ জন ইসরায়েলিকে। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৫ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই প্রাণ গেছে সাত শতাধিক মানুষের। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত অনেকে গাজার হাসপাতালগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে। হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের ভিড়ে উপচে পড়ছে হাসপাতাল। বিপুলসংখ্যক গাজাবাসীর জন্য কয়েক ট্রাক ত্রাণ মিসর সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট গতকাল আট ট্রাক ত্রাণ পেয়েছে। গাজাবাসীর জন্য এসব ট্রাকে জরুরি ওষুধ, খাবার ও পানি পাঠানো হয়েছে। তবে অবরুদ্ধ গাজায় বাইরে থেকে জ্বালানি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে তীব্র জ্বালানিসংকটের মুখোমুখি হয়েছে গাজা। আর এ সংকট মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে রাশ টানার পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ অক্টোবর ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here