*নেতাকে না পেয়ে বড় ভাই গ্রেফতারের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার চলছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন বাড়ি বাড়ি চলছে পুলিশের অভিযান। গতকাল রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযান চালানো হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এর বাসায়ও। এ বিষয়ে আমিনুল হক বলেন, গতকাল রাতে আমার মিরপুর পল্লবীর বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় আমার বাসা ও আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গত কয়েকদিন ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসভবনে থাকতে পারছি না। সমাবেশ সফল করতে গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলতে দলের হাইকমানন্ড যে নির্দেশনা দিয়েছে তা মেনে চলছি। যুবদল নেতাকে না পেয়ে বড় ভাই গ্রেফতার : গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা শরীফ হোসেন কে না পেয়ে তার বড় ভাই মো. জাকির হোসেন কে ওয়ারী থানার পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করেছে। অথচ তার নামে কোন মামলা নেই। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য (দপ্তের দায়িত্বে) সাইদুর রহমান মিন্টু। ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত নেতারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নিউ মার্কেট থানার সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৫নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. দুলাল, শাহবাগ থানার ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মো. শাহাদাত হোসেন, মো. আফসু মিয়া, ওয়ারী থানার ৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য তানভীর আহম্মেদ ওয়াসিম, শাহবাগ থানার ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মো. নজরুল ইসলাম ঢালী, কলাবাগান থানার ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সিরাজ, লিটন, মাঈনুদ্দিন লালু, রহমত উল্লাহ, লাভলু, সাইদুল, বিপুল, মুগদা থানাধীন ৭নং ওয়ার্ডের বালুর মাঠ ইউনিট বিএনপির সভাপতি মো. সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারেক, নিউমাকেট থানার ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসাদ মাহমুদ পলাশ, গেন্ডারিয়া থানাধীন ৪৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম কাশু, সদস্য মো. কালাম ও মো. গোলাপ, যাত্রাবাড়ী থানার ৬৪নং ওয়ার্ডের (পূর্ব) সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ববি, শাহবাগ থানাধীন ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. হারুন, নজরুল ইসলাম ঢালী এবং ধানমন্ডি থানা বিএনপির নেতা সুমন, বংশাল থানার ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. হারুন, ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো, আলম, ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপির মোঘলটুলী ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম, চকবাজার থানার ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, চকবাজার থানার ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মো. মনিউর রহমান মনির, নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. হাশেম। দক্ষিণ বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ। এদিকে খোকনের সহধর্মিণী বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানা জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে সিপাহীবাগের নবীনবাগ ক্যান্ট রেস্টুরেন্টের বিল্ডিংয়ের ভাইয়ের বাসা থেকে খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ওদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন আবদুল এবং তার ছেলে আবদুর রহমান রনিকে শ্যামলীর একটি বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তুরাগ থানার ৫৪ নং ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম কে গ্রেফতার করা হয় বলে মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর জানায়। নেতাদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের শাহাবাগ থানার ২০ নং ওয়াড়ডের বিবি ইউনিট শাখার সভাপতি নবী হোসেন কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। কৃষকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিনের কামরাঙীরচর থানার যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলমগীর হেসেন কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর ২৩/ এসবি
