সাংবাদিকের পৈত্রিক জমির সাইনবোর্ড ভাংচুর চাঁদা না দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি

0
369

বিশেষ প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক রানাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অধিকন্তু, সাংবাদিক রানার চাচারা তার কাছে ক্রমাগত চাঁদা চেয়ে আসছেন। চাঁদা না দিলে বাড়ির যে ঘরগুলোতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাতে রানাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হবে না বলেও তোড়জোড় চালান রানার চাচারা। এই ব্যাপারে সাংবাদিক রানা গত ২২ শে অক্টোবর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে অস্বীকার করেন এবং হত্যা চেষ্টায় জড়িত দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খান হলিউলের সাথে বসে ঝামেলা মিটানোর জন্য ধমকও দেন, যার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে আলোকিত প্রতিদিনের হাতে। ভুক্তভোগী রানা আরো জানান, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির আর এস পর্চার কাগজ তুলে তার হিস্যা অনুযায়ী দৌলতপুর ইউনিয়নের রথখোলা ভূমি অফিসে ওয়ারিশ বন্টননামা কাগজ দেওয়ার পর সবকিছু যাচাই বাছাই করে অনলাইনে খারিজের জন্য আবেদন করেন। অনলাইনে আবেদন নং ৭৭৯৭২৮৪। সাংবাদিক রানা মনোহরদী ভূমি অফিসে গেলে মনোহরদী ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড দস্তগীরকে অফিসে পাননি। অফিসের বাহিরে রিসেপশনে বসা ব্যক্তি বলেন, স্যারকে মোবাইলে পাওয়া যাবে না, স্যার ব্যস্ত। আর আপনি যে কাগজ এনেছেন পর্চা সহ ওইখানে নামজারি আবেদনের একটা কাগজ লাগবে, না হলে এসিল্যান্ড দস্তগীর কাগজ ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। আপনি কিছু খরচপাতি দিলে ওই কাগজটা বের করা সম্ভব হবে। এই ঘটনার পর সাংবাদিক রানা এসিল্যান্ড দস্তগীরকে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানান, দস্তগীর মুঠোফোনে জানান, উনি এসে এই ব্যাপারে কথা বলবেন। গত সোমবারে সাংবাদিক রানা মনোহরদী ভূমি অফিসে গেলে দস্তগীরসহ ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শরীফ মাহমুদ খান ও সাংবাদিক শ্যামল মিত্র। উপস্থিত সকলের সামনে এসিল্যান্ড দস্তগীর ঘুষ চাওয়া এবং কাগজ ঢিল মেরে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারটা সমন্ধে ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে খারিজের আবেদন অনলাইনে চেক করতে বলার পর এসিল্যান্ড বলেন ওই দাগ এ কোন জমি নাই, সম্ভবত অন্য কারো নামে খারিজ হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক রানা এ প্রতিবেদককে জানান, রথখোলা ভূমি অফিস থেকে আরএস এর সব দাগ নাম্বার দেওয়ার পরেই সবকিছু যাচাই বাছাই করে রথখোলা অফিস থেকে অনলাইনে আবেদন করা হয়। তাহলে কেন তা সার্ভারে আসবে না, কিভাবে জমি অন্য কেউ খারিজ করেন! এ দিকে রানার বাড়িতে গত ২৩ শে অক্টোবর যে ঘরগুলো তালা মেরে তার চাচারা চাঁদা চাইছেন ওই জায়গায় রানা ’নিজ নাম’ সংবলিত সাইনবোর্ড লাগালে রাতের আঁধারে সেই সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদিককে জানান, তার চাচারা দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নানা প্রভাব খাটিয়ে তারা এলাকাতে দীর্ঘদিন যাবত এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এ ব্যাপারে মোবাইলে ফোন করেও এসিল্যাণ্ড দস্তগীর ও সাংবাদিক রানার চাচা আওলাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here