আলোকিত ডেস্ক:
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে কাতারের একটি আদালত। ওই কর্মকর্তারা কাতারে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগে তাদের ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে সেটি কাতার বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বলে বিবিসি জানিয়েছে। ভারত সরকার এ ঘটনায় বলছে, তারা ‘গভীরভাবে মর্মাহত’। রায়ের বিরুদ্ধে তারা সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে বলেও জানিয়েছে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্য ও আইনি দলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। আইন প্রক্রিয়ার সবগুলো পথই আমরা অনুসন্ধান করছি। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভারতীয় নৌ বাহিনীর একসময়ের কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট এবং নাবিক রাগেশ গোপাকুমার। তারা সবাই ভারতের নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের। এনডিটিভি জানিয়েছে, কাতারের দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তারা কাজ করছিলেন। বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং ওই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। দণ্ডপ্রাপ্তদের কেউ কেউ গোপনে কার্যক্রম চালানো ইতালীয় প্রযুক্তিভিত্তিক ক্ষুদ্র সাবমেরিন তৈরির মত অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রকল্পেও কাজ করছিলেন। পরবর্তীতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠলে গত বছর গ্রেপ্তার করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তখন থেকে তাদের মুক্তির জন্য কাজ করে আসছিল দিল্লি। গত মার্চে তাদের বিচার শুরু হয়। জামিনের আবেদনও বেশ কয়েকবার বাতিল করে তাদের আটকের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষে ‘কোর্ট অব ফার্স্ট ইন্সট্যান্স অব কাতার’ এই রায় দিল। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে লাখ লাখ ভারতীয় রয়েছেন, যারা স্বল্প দক্ষ কিংবা অদক্ষ নিম্নআয়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের প্রবাসী আয়েও তারা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোবর ২৩/ এসবি