আলোকিত ডেস্ক:
ঢাকার একাধিক প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তারা ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহনে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে ঢাকার প্রবেশপথ গাবতলী সেতুর মুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে দারুসালাম থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে জানতে দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। উত্তরার আবদুল্লাহপুরেও সকাল থেকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশের উত্তর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা বলেন, চেকপোস্ট (নিরাপত্তা চৌকি) বসিয়ে তল্লাশি করা পুলিশের নিয়মিত কাজেরই অংশ। বেলা দুইটার পর পোস্তগোলা ব্রিজের মুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চালাচ্ছে শ্যামপুর থানা–পুলিশ। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, দুষ্কৃতকারী ও মাদক কারবারিরা যাতে অস্ত্র নিয়ে ঢাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্যই চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। এদিকে সাভারে রাজধানীর প্রবেশপথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। যানবাহন তল্লাশীর পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করে যেতে দেওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। প্রয়োজনে যাচাই করা হচ্ছে পরিচয়পত্রও। শুক্রবার সকাল থেকে আমিনবাজার, বিরুলিয়া মিরপুর সড়ক, ধামরাইয়ের ইসলামপুর ও আশুলিয়া ব্রিজে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে সাভার ও আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, শনিবার রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ রয়েছে, তাই কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোন নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দল ও অঙ্গসংগঠনের ৫০ জনের বেশি নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে পুলিশ বিএনপি নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে না। যেসব নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, শুধু তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। র্যাব ২–এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আজ সকাল থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর, ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোর ২৩/ এসবি