মো: মহিদ:
ঢাকায় মহাসমাবেশে পুলিশ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৯ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজ উপজেলা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে উপজেলা সদর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত আমিরুল ইসলাম পারভেজের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামে। তিনি ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীর বড় ছেলে। নদীভাঙনে বসতবাড়ি হারিয়ে কয়েক বছর আগে তারা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ফয়েজপুর গ্রামে বাড়ি করেন। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দৌলতপুরে তার মরদেহ আনা হয়। এ সময় স্বজনদের কান্না এবং আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাইমুর রহমান দুর্জয় নিহতের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন। এ সময় জেলা পুলিশসহ নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজার নামাজ শেষে বাজারের পাশে উপজেলা সদর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় নিহতের স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোনসহ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনকালে বিএনপির কর্মীদের হামলায় একমাত্র উপার্জনকারী নিহত হওয়ায় তার পরিবারের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ অক্টোবর ২৩/মওম