কলমাকান্দায় বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা ,না দিলেই হুমকি

0
180
কলমাকান্দায় বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা না দিলেই হুমকি
কলমাকান্দায় বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা না দিলেই হুমকি
তানজিলা আক্তার রুবি:

নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলায় মনতলা ডেইট্টাখালীতে কয়লাবাহী ট্রলার এবং বাল্কহেড (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে । এ ব্যাপারে বি-বাড়িয়া জেলার চরচারতলা মরমপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল মিয়া গত ২৪ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক এবং কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের মনতলা ডেইট্টাখালীতে স্থানীয় মনতলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে  মৌলা মিয়া- হানিফ মিয়া, খোকন বিশ্বাসের ছেলে বদরুল বিশ্বাস,নছু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, হারেছ ছেলে সুরাব মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন বেশ কিছুদিন ধরে কয়লা বহন করা বাল্কহেড ও ট্রলার মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত ২৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় তোফাজ্জল মিয়ার কয়লা বোঝাই বেশি  হওয়ায় একটি কাগজে চাঁদার  হিসাব দিয়ে যায় সেখানে আবুচান ,সালাম বিশ্বাস ঘাট জমা ২,০০০, ইউনিয়ন ট্যাক্স-১০০০, হানিফ নৌ পরিবহন- ২,০০০, কয়লা সমিতি -১০০০, মাদ্রাসা-সহ অন্যান্য  ক্ষেত্রে ৭৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের টাকা না দেওয়ায় তোফাজ্জল মিয়ার নৌকা থেকে দুই লোহার গ্যারাপী যার মূল্য ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করায়  ধারালো অস্ত্র দিয়ে তোফাজ্জল ও তার লোকজনকে  কুপিয়ে হাত পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মানু মজুমদারকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। তোফাজ্জল মিয়াসহ অন্যান্য মাঝিদের সাথে কথা বললে জানা যায়, প্রতি বাল্কহেড, ট্রলারে ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭-৮ হাজার টাকা দিতে হয়, না দিয়ে জোর করে হলেও নিয়ে যাবে, না দিলেই হুমকি ধামকি দেয়।  কোন রিসিট ও দেয় না তারা এখন কিসের জন্য এতো টাকা নিচ্ছে কেউ বলতে পারছেন না।  তারা আরো বলেন,সরকারি ইজারা ছাড়াও বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা দাবি করে না দিলে মালামাল নিয়ে আটকে রাখে ,মারধর করে,মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একটাই দাবি সরকারের নির্ধারিতভাবে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করুক যেন অতিরিক্ত কোন টাকা না দিতে হয় তাদের। এদিকে ইজারার ঘাট জমা আদায় করা আবু চান নামে এক ব্যক্তির সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে  কত টাকা করে নেন সে ব্যাপারে কথা না বলে ফোন রেখে দেন। ইজারাদার নুরুজ্জামান বলেন,তিনি  অন্যদের দিয়ে টাকা আদায় করায় তাই ঠিক কত টাকা আদায় করে তা জানেন না। এছাড়াও তিনি বলেন অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করতে  নিষেধ করে দিয়েছেন। শুধু ইজারাদার ইজারার মতো টাকা আদায় করবেন। এ ব্যাপারে কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি  ইজারাদারদের ডেকে তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে যে নির্ধারিত আদায়ের তালিকাসহ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য। এর বাহিরে টাকা আদায় করা যাবে না। নিয়মানুসারে কত টাকা করে আদায় করার নির্দেশ ছিল সে প্রশ্নে তিনি বলেন , নৌকার সাইজ বা মালামাল অনুযায়ী নির্ধারিত আদায়ের নিয়ম রয়েছে কিন্তু তালিকা না দেখে বলতে পারছি না।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here