বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা প্রসঙ্গে ইশরাকের খোলা চিঠি

0
450
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে (মিয়ান আরাফী) আমি আগে থেকে চিনতাম না

`বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ তখন মিয়ান আরাফী এবং তার সাথের অন্যরা কীভাবে প্রবেশ করলো? সেটা থেকেই প্রমাণ হয় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনার মূল হোতা।’

সুহৃদ,
আসসালামু আলাইকুম। আজ বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলায় আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। সেইসাথে আমি নিজেও বেশ কয়েকটি ছররা গুলিতে আহত হয়েছি। এজন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশেই ইসলামী ব্যাংক স্পেশালাইজড অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে আরো অনেক নেতাকর্মীকে আহতাবস্থায় দেখে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করি এবং অন্যদেরও খোঁজ খবর নিই। পরে আরো কিছু নেতাকর্মী আহতাবস্থায় বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে শুনে তাদের খোঁজ-খবর নিতে সেখানে যাই।

তারপরপরই সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারোওয়ার্দী দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে আসেন এবং আহত নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলতে চান। আমি যেহেতু আগে থেকেই সেই সভা কক্ষে বসে আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নিচ্ছিলাম, এই সুযোগে সাবেক এই উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও তার সাথে থাকা ব্যক্তিদ্বয়ও তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে থাকে। এ পর্যায়ের সেখানে থাকা মিডিয়ার সাথে কথা বলতে চায়। এমবস্থায় আমি একজন সাবেক উর্ধতন সেনা কর্মকর্তা বা চার তারকার অধিকারী সাবেক জেনারেলের সম্মানেই তাদের পাশে বসি। তবে, তার কথা বলার আগ পর্যন্ত আমি তার পরিচয় অর্থাৎ নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া ব্যক্তিটি সম্পর্কে কিছুইই জানতাম না। আর (তার ব্রিফিং ) সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনের বিষয়টিতে তাদের পাশে বসা ছাড়া আমার প্রত্যক্ষ কোন অংশগ্রহণ ছিলনা।
এমতাবস্থায় আমার স্পষ্ট বক্তব্য এই যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া কথিত ব্যক্তিটিকে আমি আগে থেকে চিনতাম না। আর তার সাথে আমার কোন পরিচয়ও ছিলনা। আগে থেকে সেই কক্ষে অবস্থান করার কারণে এবং আমার পুর্বপরিচিত সাবেক উচ্চ পদস্থ এই সেনা কর্মকর্তার সম্মানেই তাদের পাশে বসেছিলাম। যা নিয়ে পরবর্তীতে একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরী হয়। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসাথে আর কোন বিভ্রান্তি ছড়ায় এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ তখন এই ব্যক্তি এবং তার সাথের অন্যরা কীভাবে প্রবেশ করলো সেটাই বর্তমানে সবচেয়ে মূল্যবান প্রশ্ন। এটি থেকেই প্রতীয়মাণ হয় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনার মূল হোতা। এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট ভাবে তথ্য প্রমান না দিতে পারলেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা পুরো নাটক সাজিয়েছে। সেই সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে বিব্রত করে সরকার পতন আন্দোলন থেকে সড়ানোর চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে। এই ব্যক্তির আসল পরিচয় ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে কারো জানার আগ্রহ থাকলে নিজ উদ্যোগে খোঁজ-খবর নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ইশরাক হোসেন
আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি
তারিখ: ২৮/১০/২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here