বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সমাজচিন্তায় নতুন প্রজন্মের আশান্বিত মুখ হিসেবে যিনি ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করছেন, তিনি মুহাম্মদ আবু আবিদ। লেখক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী হিসেবে ইতোমধ্যেই তার একটি পরিচিতি গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তার লেখা কলাম ও বিশ্লেষণপত্র পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাচ্ছে নিয়মিত।
সম্প্রতি তার পেশাগত জীবনে যুক্ত হয়েছে এক নতুন অধ্যায়। চলতি বছরের ৯ আগস্ট, মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এ। এর মাধ্যমে তিনি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা, বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজির গুরুত্বপূর্ণ অংশে যুক্ত হন।
এরপরই ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মুহাম্মদ আবু আবিদ চ্যানেল ২৪-এর জনপ্রিয় টক শো “আলাপচারিতা” অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থাপক হিসেবে পর্দার সামনে আসেন। অনুষ্ঠানে সমাজ ও তরুণ প্রজন্ম নিয়ে তার বিশ্লেষণমূলক মতামত দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়ায়। আবিদের কথা বলার ধরণ ছিল স্পষ্ট, যুক্তিপূর্ণ এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তরুণ সমাজ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ বিশেষভাবে চোখে পড়ে। অল্প সময়ই জনপ্রিয় হয়ে উঠে তার টক শো।
নিচে কয়েকটি অনুষ্ঠানের লিংক যুক্ত করা হলঃ
১. https://youtu.be/5jde_Zkvkyw?si=vClAIhtIsr0d40bC
২. https://youtu.be/ZE6AWuGJylQ?si=R9CXkXBgK0_tj6l5
৩. https://youtu.be/_UGZ5Qk3oAQ?si=BApaN7VGvzXQC2gD
৪. https://youtu.be/PU-ADQ82WKc?si=ocN–qL62YmShmma
৫. https://youtu.be/EMlicoP8Juw?si=zKU6gfEfvuIh50qi
মুহাম্মদ আবু আবিদ একজন লেখক, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। সমাজের নানাবিধ অসংগতি, শিক্ষার সঙ্কট, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও নেতৃত্ব বিকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি লেখেন এবং জনসচেতনতা তৈরি করেন।
তার কাজের পরিধি শুধু সাংবাদিকতা কিংবা লেখালেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তরুণদের মাঝে নেতৃত্ব বিকাশ ও মানবিকতার চর্চার জন্য তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
পর্দার অন্তরাল থেকে সরাসরি টিভি পর্দায় আবু আবিদের এই যাত্রা অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠছে। তিনি নিজেও অনুষ্ঠান শেষে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “চেষ্টা ছিল ভেতর থেকে কাজ করার। কিন্তু সামনে এসে যদি কথাগুলো আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়, সেটিও দায়িত্বেরই অংশ মনে করি।”
ভবিষ্যতে তিনি গণমাধ্যমে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে ধারাবাহিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।