গাজা এখন রক্তাক্ত উপত্যকা

0
567

আলোকিত ডেস্ক:

আজ সোমবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেতায়েহ- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বেশকিছু আলোচনা হয়েছে। এসময় মন্ত্রিসভা নিষ্ঠুরতম এক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে। মন্ত্রিরা বলেছেন, গাজায় পরিস্থিতি মানুষের সহ্যসীমাকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। তবু শিশুরা মরছে বোমার আঘাতে, কখনো বা ক্ষুধা ও আতঙ্কে। আহতরা যথাযথ চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে যাওয়ার অথবা রোগী বহনের সময়ে ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। গাজায় বিদ্যুৎ ও পানি দরকার। কিন্তু, পুরো উপত্যকা যেন ধবংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যার নিচে আটকা পড়েছে শত শত মানুষ। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ নাহলে তাদের উদ্ধার করাও যাচ্ছে না। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিশ্বের বিবেকমান মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, বিবেকবান ও মানবিক মূল্যবোধের স্বপক্ষে থাকা মানুষদের এই আগ্রাসন বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যে আগ্রাসন গাজাকে রক্তস্নাত উপত্যকায় পরিণত করেছে। ইসরায়েলি মন্ত্রী খিলা ইল্যান্ড বলেছেন, গাজায় এমন একটি মানবিক সংকট তৈরি করতে হবে, যাতে এই অঞ্চল মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ১০ হাজার মানুষকে হত্যা, ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে আহত ও ১০ লাখের বেশি গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যূত করেও ইসরায়েলের ঐতিহ্যবিষয়ক এ মন্ত্রির রক্তপিপাসা মেটেনি। তিনি এখন গাজায় আরেকটি হিরোশিমা চান। ইসরায়েলের হাতে থাকা পারমাণবিক বোমা দিয়ে এই গণহত্যার সম্পন্ন হোক, এটাই চান তিনি।ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মন্ত্রিসভা বলেছে, হত্যাযন্ত্রকে বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অবশ্যই এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেতায়েহ বলেন, বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। আমি জাতিসংঘের কাছে এই উদযাপন বাতিল এবং ইসরায়েলি হত্যাযন্ত্রের কারণে ফিলিস্তিনের যেসব শিশু তাদের স্কুলে যেতে পারছে না, তাদের ছবি প্রকাশের আহ্বান জানাই।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ নভেম্বর ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here