আজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ( অমনি প্রসেসর-বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ)  স্থাপনকরন  প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

0
435

আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ

আজ (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার সফরে আসছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ২৯ প্রকল্পের উদ্বোধনের এগারো মাসের মাথায় চলতি সরকারের শেষ মেয়াদে কক্সবাজারে এসে শেষ হওয়া মেগাপ্রকল্পসহ আরও ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। ওইদিন সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেল লাইন ছাড়াও ঐ দিন তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক  বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (অমনি প্রসেসর- বর্জ্য  থেকে বিদ্যুৎ) ডিজাইন ও স্থাপনকরণ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য  প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, EAP প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ( অমনি প্রসেসর- বর্জ্য থেকে বিদুৎ)  ডিজাইন ও স্থাপনকরণ প্রকল্প ক্যাম্প ৪ এক্সটেনশন, উখিয়া উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পটির উপকারভোগী আনুমানিক ১ লক্ষ মানুষ।  প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল শুরু হয় ২০২১ সালের অক্টোবর  থেকে এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি অংকুর সাইন্টিফিক( ভারত) এবং এসআর করপোরেশন ( বাংলাদেশ) কর্তৃক যৌথ ঠিকাদারে সম্পন্ন  হয়। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবুল মনজুর বলেন,এ প্লান্ট হতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে EPA/ doE স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বায়ু নির্গমনের ব্যবস্থা রাখ হয়েছে। এবং উক্ত প্লান্ট থেকে উৎপাদিত পানি বাংলাদেশ পানীয় স্টান্ডার্ড অনুযায়ী পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন,প্রকল্পটির প্রযুক্তির ডিজাইন লাইফ সব প্রধান অংশের ১০ বছর গ্যারান্টিসহ মোট ২০ বছর। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২ বছরের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স রয়েছে। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ভৌত কাজ সমাপ্তের পর প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। আগামীকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে ১৭ টি প্রকল্পের পাশাপাশি এ প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। মূলত পয়ঃ বর্জ্য, জৈব বর্জ্য এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের মাধ্যমে প্লান্ট পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে।উক্ত প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কিলোয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে যার মাধ্যমে প্লান্টের যন্ত্রপাতি চালু রাখা যাবে। প্রকল্প থেকে পানি উৎপাদন হবে দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ লিটার। এছাড়া প্লান্ট থেকে দৈনিক ১২০০- ১৫০০ কেজি অ্যাস  উৎপাদন হবে। যা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হবে এবং এটি দ্বারা মাটি ভরাট বা পরোক্ষ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here