এফসিভি সদস্যদের সাথে এলডিএফ ও সিডিএফ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা করলো বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন টিম 

0
300
এফসিভি সদস্যদের সাথে এলডিএফ ও সিডিএফ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা করলো বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন টিম 
এফসিভি সদস্যদের সাথে এলডিএফ ও সিডিএফ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা করলো বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন টিম 
আবু সায়েম:
সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে  সুফল পাচ্ছে ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন   প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনের উপর নির্ভরশীল থাকা নারী-পুরুষরা। টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে বনের উপর নির্ভর না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে হাজার হাজার  নারী পুরুষ। ফলে ধ্বংসকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বন ও জীববৈচিত্র্য। ১১ নভেম্বর শনিবার কক্সবাজার উত্তর  বনবিভাগের আওতাধীন  মেহেরঘোনা রেঞ্জের ৪ টি বিটের সুফল প্রকল্পের  অধীন ৯ টি বন সংরক্ষণ গ্রামের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে     বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন টিম। এসময়  এফসিভি সদস্যদের সাথে এলডিএফ ও সিডিএফ কার্যক্রম বিষয়ক  সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্রাহাম হোসেন সহ বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দল। সুফল প্রকল্পের  মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হয়ে লাভজনক খাতে ঋণের টাকা বিনিয়োগ করে বনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বন রক্ষায় সবসময় সজাগ থাকে বলে জানায় সদস্যরা।বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়,ঋণ বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহ বনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করছে সুফল প্রকল্প। দুই কিস্তিতে ৪০হাজার টাকা করে প্রতি সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণের টাকায় নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরা সৃষ্টি করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে হাজার হাজার  নারী পুরুষ। মেহেরঘোনা রেঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমান  বলেন, আমরা সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে  ধ্বংসের হাত থেকে বনরক্ষা করি। সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের বনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বনরক্ষায় সর্বোচ্চটা দিয়ে আমরা সবসময় সজাগ থাকি। আমাদের পেট্রোলিং টিম রয়েছে। যারা বনের পাহারা দিয়ে থাকে।”বনের উপর নির্ভরশীল মানুষদের কর্মসংস্থান হওয়া সুফল প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব। মতবিনিময় সভার পরে বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন টিম ও  বন বিভাগের  কর্মকর্তাগণ   মেহেরঘোনা-চান্দেরঘোনা বন সংরক্ষণ গ্রাম এর গ্রাম উন্নয়ন তহবিল হতে নির্মিত কালভার্ট, পাবলিক টয়লেট, ইট সোলিং রাস্তা পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনকালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার,সহকারী বনসংরক্ষক( সদর) ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়,সহকারী বন সংরক্ষক ( ফুলছড়ি)  শীতল পাল,মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমান সহ বিট কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন পর বিশ্ব ব্যাংকের টিম এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ সার্বিক বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং সংশ্লিষ্ট  রেঞ্জ ও বিটে কর্মরত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আলোকিত প্রতিদিন /১২ নভেম্বর ২৩/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here