খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

0
590
খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল
খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি, জনগণের সেবার সুযোগ পাই। তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় এদেশের মানুষকে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এটা জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। ১২ নভেম্বর রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ২য় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটা জীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণই আমার একমাত্র লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। এই সময়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করবো সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। প্রায় ১০ হাজারের মতো ক্লিনিক আমরা নির্মাণ করে চার হাজার চালু করি। একবছরের মধ্যে এর সাফল্য পায় ৭০ ভাগ মানুষ। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তখন বিএনপি ক্ষমতা আসে। প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। তিনি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেন। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। তিনি বলেন, কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা যে সম্ভব এই সম্মেলন মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করবো। আমরা কী কী কাজ করেছি সেগুলো প্রচারে আমরা সুযোগ পাচ্ছি। প্রথমবার যখন আমরা সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্যসেবার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেখেছি অনেক কুষ্ঠ রোগী মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে একটা সুর করে ভিক্ষা চাইতে আসতো। যেকোনো অকেশনে তারা আমার কাছে আসতো। আমি তাদের কখনো অবহেলা করিনি। তারা এলে বসাতাম, খাদ্য দিতাম। তাদের আমি নগদ টাকা দিয়েও সহযোগিতা করতাম। কথা দিয়েছিলাম যে সরকারে যেতে পারলে তাদের জন্য ব্যবস্থা করব। সে ব্যবস্থাটা করেছি। স্বাস্থ্যকর্মী-ডাক্তার-নার্সসহ, বিভাগ, সংস্থা, সেই সঙ্গে সব নাগরিককে কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবহেলা না করে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই প্রধানমন্ত্রী।  তিনি বলেন, এরা আমাদের সমাজের অংশ পরিবারের অংশ একটা বাচ্চা শিশু যদি হিজড়া বা প্রতিবন্ধী হয় তার বাবা মা ফেলে দিতে পারে না। ফেলে দেওয়া উচিত না। আমরা কেন ফেলে দেব? তারা সম্পদেরও অংশীদার, এটা আমাদের ইসলাম ধর্মেও আছে। কুষ্ঠ রোগ চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন /১২ নভেম্বর ২৩/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here